মো: মারুফুল আলম: বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমাদের দলের আন্দোলন সংগ্রাম ও সকল চিন্তা চেতনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা। যা প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সাত দফার উপর অবিচল আছি। আমাদের নেত্রীর মুক্তি দাবি করে যাচ্ছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূল শ্লোগান হবে, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, ধানের শীষে ভোট চাই’। আমরা বিশ্বাস করি, আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণ ভোটের বিপ্লব ঘটাবে। পল্টনে বিএনপির দলীয় অফিসের সামনে গণজোয়ার এবং সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রমানিত হয়, তৃণমূল নেতাকর্মীরা নির্বাচনটাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিতে চাচ্ছে।
‘ক্ষমতাসিন দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা’ প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, আমাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং জনসমর্থন আমাদের আছে। এই শক্তিকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকার এমন কোন পরিকল্পনা নেই যে, তা করছে না। আমাদের হাজার হাজার কর্মী জেলে, লাখ লাখ কর্মী মামলার আসামি। তারপরও কিন্তু দলীয় অফিসের সামনে দেখা যাচ্ছে একটা উৎসবের পরিবেশ। এতে বুঝা যায়, গত দশ বছরে আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারাতে পারেনি সরকার।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষিত হয়েছে কিন্তু আপনারা চেয়েছিলেন আরও পেছাতে, এ ব্যাপারে আপনাদের দলের সর্বশেষ সভায় কী আলোচনা হলো? এর উত্তরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনও চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। তবে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সংলাপে প্রধানমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার পর্যবেক্ষণে আছি। আমাদের মহাসচিব বলেছেন, বর্তমানে যে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত সেটা হচ্ছে না। ধরপাকড় চলছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হলে আমরা হয়তো নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়া নিয়ে পুনরায় চিন্তা করবো। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াও অব্যাবহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :