শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘রাজনীতি তোমার জন্য না বস, প্লিজ ফিরে এসো’

রবিন আকরাম : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

রোববার (১১ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মাশরাফির মনোনয়নপত্র কেনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। এতে মাশরাফির ভক্ত-সমর্থক এবং ক্রিকেট অনুরাগী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় বেশিরভাগ মানুষই তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ক্ষোভ, দুঃখ বা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি 'অবসর' নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত ছিল মাশরাফির। যদিও পেশাদার খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার উদাহরণ বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নতুন নয়।

ক্রিকেটারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই শ্রীলঙ্কার ২০১০ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন; পরবর্তীতে তিনি ঐ নির্বাচনে বিজয়ীও হন।

মাশরাফিকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন লিখেছেন, আমার ধারণা সাকিবের মত মাশরাফিও নির্বাচন করা থেকে সরে দাড়াবেন। আগাম ধন্যবাদ। ক্রিকেটারদের পুরো মনোযোগ থাকুক খেলায়, বিশেষ করে বিশ্বকাপে।

সুমনের ভাষায়, মাশরাফির মত মানুষের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাত আর গুমখুনের সর্দারের সাফাই শুনতে হবে এটা ভেবে খারাপ লাগে।

রমজান রাজ নামের একজন লিখেছেন, আমি চাইনা মাশরাফি বুড়ো বয়সে জেলে যাক, আমি চাই না দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার, ক্লিন ইমেজের মানুষটির দিকে আংগুল তাক করে কেউ কটু কথা বলুক! দেশের রাজনীতি তোমার মত ব্যক্তির জন্য না 'বস'। প্লিজ ফিরে এসো ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

অনেকেই আবার মাশরাফির রাজনীতি যোগ দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তোফায়েল নামে একজন মনে করেন, মাশরাফির রাজনীতিতে আসলে দেশ নতুন কিছু দেখতে পারে। ম্যাশ এর প্রতি আমাদের ভরসা আছে সে দেশকে বদলে দিতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, ক্রিকেট ও রাজনীতি দুটো একসাথে কারার নজির বিশ্বে আছে। এটা নিয়ে এতো হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

লেখক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীরের ভাষায়, একজন খেলোয়াড় তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় অন্য পেশায় যেতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে এমপি হতে পারলে নিজের সুনাম, দেশকে সর্বচ্চ সেবা দেওয়া- দুটোর সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে যারা নাখোশ তারা মাশরাফির কাছে কী চান আল্লাহ জানে!

মো. নাফিস রহামন লিখেছেন, একটা মানুষ রাজনীতি করবে।সংসদ নির্বাচন করবে এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়