লিয়ন মীর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছায়াতলে বড় হয়েছি। তার মাধ্যমে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ন্যায়-নীতি, মানবিকতা, শততা, দেশপ্রেম সব কিছুই বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শিখেছি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করি, লালন করি এবং পালন করি। আমার রক্তে বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন। আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা বঙ্গবন্ধুর নাম বলে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের প্রতি আলাদা একটা দরদ কাজ করে, ভালোবাসা কাজ করে। মায়া লাগে, মানুষের জন্য মন কাঁদে। মানুষের জন্য কিছু করতে ইচ্ছে করে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে। সেজন্য নানান পরিকল্পনা করি কিন্তু বাস্তবায়ন করার জন্য আমার সেই সামর্থ নেই। ছোট পরিসরে যা করার করি। বড় পরিসরে করতে গেলে একটা প্লাটফরম লাগে, একটা চেয়ার দরকার হয়। যেখানে বসে মানুষের কথা শুনতে পারবো, তাদের জন্য কিছু করতে পারবো। সেজন্যই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে দাঁড়াতে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজটি করে যাচ্ছেন, সেই প্রয়াসের অংশ হতে চাই আমি।
আমি সিনেমা থেকে হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসিনি, রাজনীতি থেকে সিনেমায় এসেছি। আমি একটা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করে, রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠেছি। আমার পরিবারের আদর্শ এবং রাজনৈতিক পরিচালক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার পিতার সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। এককথায় আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে আমার বাবা আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু বাজার’ করে গেছেন। এখনো সেই স্থান বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিত। সংগত কারণে জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত আমি রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত আছি। কিন্তু চলচ্চিত্রে থাকার কারণে দীর্ঘদিন মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারিনি। তবে সবসময় বন্ধুবান্ধব বা চলচিত্রের যেকোনো ঘরোয়া আড্ডায় আমি রাজনৈতিক আলোচনা করেছি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছি, বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছি। তাই যারা জানেন না, তাদের জানাতে চাই- আমি সিনেমা থেকে রাজনীতিতে নয়, রাজনীতির মাঠ থেকে সিনেমায় এসেছিলাম।
মানুষ আমার জন্য পাগল হয়ে অপেক্ষা করছে। আমাকে নির্বাচনে দেখতে চায়। ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি করে জাতীয় সংসদে পাঠাতে চায়। আমিও জনগণকে সাথে নিয়ে নেমে পড়েছি। আমার তো নতুন করে পরিতিচি লাভ করা বা জনপ্রিয়তা অর্জনের কিছু নেই। আমাকে গোটা দেশের মানুষ চেনে, ভালোবাসে। আমার জন্মস্থানে আমি সিনেমার মানুষ হিসেবে যেমন পরিচিত, ঠিক তেমনি রাজনৈতিকভাবেও পরিচিত। এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা চাইলেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে, আমি গাজীপুর-৫ আসন থেকে নৌকার বিস্ময় উপহার দেবো। কেননা, মানুষ আমার জন্য অধীর অপেক্ষয় দিন গুনছে। পরিচিতি : চিত্রনায়ক ও রাজনীতিবিদ
আপনার মতামত লিখুন :