সাইদ রিপন : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী চলছে। মেলায় দর্শনার্থীরা হাতে-কলমে সব কিছু বোঝার পরে বেশির ভাগ দর্শনার্থীই প্রশ্ন করে এর মাধ্যমে কিভাবে ভোট কারচুপি হবে। সোমবার ইভিএম প্রদর্শনী মেলা ঘুরে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ভোটারের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর দেয়ার সঙ্গে তার ছবি দেখা যাবে কম্পিউটারে। কাজেই একজনের ভোট অন্য জন দেওয়ার সুযোগ নেই। একজন একবার ভোট দিয়ে গেলে কম্পিউটারে সেই তথ্য থেকে যায়। জালিয়াতি করার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে। মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য এসেছি। আঙ্গুলের ছাপ দিতেই আমার পরিচয়, বয়স, ঠিকানা ও এনআইডি নাম্বার কম্পিউটারে চলে এসেছে। তারপর ভোট দিলাম।
পরবর্তীতে আবার ভোট দিতে গেলাম তখন কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখালো আপনার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আরেকজন দর্শনার্থী বলেন, ইভিএমে ভোট দিয়ে কোন অসঙ্গতি পেলাম না। আমি পছন্দের মার্কায় ভোট দিয়েছি। খুব সহজ পদ্ধতি মনে হয়েছে আমার কাছে। অন্য আরেকজন বলেন, আমার কাছে এনআইডি কার্ড নেই কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ দিতেই আমার সব তথ্য চলে এসেছে। কার্ড ছাড়াই ভোট দিলাম। আমার মনে হয় না ইভিএমে কারচুপির সুযোগ আছে।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীদের অনেকেই প্রশ্ন করেছেন এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বা সঙ্গে আনতে ভুলে গেলে ভোটার কি করবে। আমরা আঙুলের ছাপ নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে ভোটার শনাক্ত করা যাবে। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া ইভিএম প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে ২০টি বুথ। যেখানে রয়েছে ৪০টি ইভিএম। এগুলো পরিচালনার জন্য রয়েছে প্রায় ৬০জন কর্মী।
আপনার মতামত লিখুন :