আদম মালেক : আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা হ্রাস ও বিতরণকৃত ঋণ যথাসময়ে আদায় না হওয়ায় পাট খাতের পুন: অর্থায়ন তহবিল পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো বছর তহবিলের একটি বড় অংশই ব্যাংকগুলো বিতরণ করতে পারেনি। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণও অনেক ব্যাংক ফিরিয়ে দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর কাঁচা পাট ক্রয়ে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট ২শ কোটি টাকা পুন:অর্থায়ন তহবিল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। চলতি অর্থবছরের এই সময়ে এই তহবিল থেকে ৬৯ কোটি বিতরণ হয়। তহবিল গঠনের শুরুতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এই তহবিল থেকে ১৫৯ কোটি টাকা পাট উৎপাদন ও রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা ঋণ নেয়। অব্যাবহৃত থাকে ৪১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সর্বনি¤œ ঋণ বিতরণ হয়। সে সময় বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ মাত্র ৫৪ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিতরণ হয় যথাক্রমে ১৩৭ কোটি ও ৬৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পাট খাতে পুন:অর্থায়ন তহবিলের ঋণ বিতরণে ১৬ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সোনালী অগ্রণী জনতা বেসিক ন্যাশনাল ব্যাংক। আর পুন:অর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ নিয়েও ফিরিয়ে দেয় প্রাইম স্ট্যান্ডার্ড উত্তরা ইউসিবিএল এনআরবিসি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাট খাতে পুন:অর্থায়ন তহবিল নীতমালা অনুযায়ী সরকারী এই তহবিলের অর্থ সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ, বেসরবারী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ ও ট্রেডাররা ২০ শতাংশ বিতরণ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশে ঋণ নিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে ৯ শতাংশে বিতরণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :