শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ইমরান খানের মতো নতুন দল গড়ে প্রধানমন্ত্রী হও, আমরা তোমার সঙ্গে আছি’

আক্তারুজ্জামান : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতার খবরটি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে মাশরাফির ভক্ত-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। গতকাল রোববারে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল রাজনীতিতে মাশরাফির যোগ দেয়ার খবরটি।

নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য রবিবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র নেন মাশরাফি। তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও সামাজিক মাধ্যমে তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ক্ষোভ, দুঃখ বা হতাশা প্রকাশ করার মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি।

মাশরাফিকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা
বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় ফারজানা রিমি মন্তব্য করেন, ‘দেশ যখন ভয়ানকভাবে বিভক্ত, এক ক্রিকেটই ছিল সবার অভিন্ন ভালবাসার জায়গা। রাজনীতির বাইরে থেকে এক মাশরাফি একটা কথা বললে সবার মাঝে যে প্রতিক্রিয়া ঘটতো, এখন কি তা হবে? দেশকে তো মাশরাফির আরও অনেক কিছু দেয়ার ছিল। সবকিছুকে কেন আমরা রাজনীতিকরণ করে ফেলি?’

আলী মোহাম্মদ হোসেন লিখেছেন, ‘নেতা যদি হতেই চাও ইমরান খানের মত আলাদা দল গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হও, আমরা আছি তোমার সাথে।’

অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, রাজনীতি যোগদান করলে মাশরাফির যেই ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে তা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রমজান রাজ নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি চাইনা মাশরাফি বড়ো বয়সে জেলে যাক, আমি চাই না দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার ক্লিন ইমেজের মানুষটির দিকে আংগুল তুলে কেউ কটু কথা বলুক!’

তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমালোচনা করলেও মাশরাফির সিদ্ধান্তের সমর্থন দেয়ার মানুষও কিন্তু কম না। অনেকেই মাশরাফির রাজনীতি যোগ দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। যেমন, আরমান মালিক নামক একজন লিখেছেন, ‘মাশরাফির মত ভাল লোকগুলো রাজনীতিতে আসা উচিত, এরাই দেশকে বদলাবে!’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘একজন ভালো মানুষ দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতো চিন্তার কিছু নেই। আমরা তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, যাতে সবার সামনে থেকে দেশের জন্যে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

অনেকে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি রাজনীতিতে যোগদান করলে খেলায় তার মনোযোগ ব্যহত হতে পারে। তবে নির্বাচন করলে বিশ্বকাপের পারফরমেন্স প্রভাবিত হবে কি না, এবিষয়ে ভক্ত-সমর্থকরা যতটা চিন্তিত তার চেয়ে বেশি মাথাব্যাথা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের।

আর এ নিয়ে যতই আলোচনা-সমালোচনা হোক না কেন, রাজনীতিতে যোগ দেয়া বা না দেয়া যে আসলে মাশরাফির একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, এটিও দিনশেষে মনে রাখা উচিত সবার। বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়