শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তিস্তা চুক্তি করবেন মমতা !

মাছুম বিল্লাহ : ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তিস্তা চুক্তির সমাধান হবেই। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ গত রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব বলেছেন, ‘আমরা যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসি, তবে তিস্তা চুক্তির সমাধান হবেই। আমরা আশা করি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যার সমাধান করবেনই। তার বাংলাদেশের প্রতি দরদ আছে।’

পত্রিকাটি লিখেছে, বর্তমানে বিএনপি ভারতকে বন্ধু হিসেবে মনে করে এমন কথাও বারবার শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কলকাতায় আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব জানান, অতীত ভূলে তারা শুধু মোদি সরকার নয়, পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক, অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে কেন বৈরিতা, তা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে বৈরিতা নেই। কিন্তু আমরা চাই, ভারত শুধু একটি দল নয়, সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক। আর এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুজি হচ্ছে। আমরা চাই, ভারত সবার বন্ধু হোক। আমরা ভারতকে বন্ধু বলেই মনে করি। ভারতের সবাইকে বলতে চাই, আপনারা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়।

খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, আমরা ভারতের সকল রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই। সেখানে পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। এই বাংলার মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনও ফারাক নেই। বাংলাদেশ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন কাজে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে আসেন। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও তাই। আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যাতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে, সম্পর্ককে আরও উচ্চমাত্রায় নেওয়া যায়।

যুগশঙ্খ লিখেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে উলফাসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দিয়েছিল বিএনপি সরকার। এই অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, এটা সবটা ঠিক নয়, তারপরেও আমরা মনে করি, এ বিষয়ে যা অভিযোগ আছে আমাদের ওপরে, আগামীতে তা থাকবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে উত্তর-পূর্ব ভারত আর অস্থির হবে না বলে দবি করে বিএনপি নেতা বলেন, আমি দলের পক্ষ থেকে একশো শতাংশ আশ^াস দিচ্ছি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে উত্তর-পূর্ব ভারত সুস্থির থাকবে।

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি লড়াই করবে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাবো। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে ঐক্যফ্রন্ট জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ভোট বিএনপি পাবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা এর জন্য কাজ করছি এবং এবার বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থীও বিএনপির হয়ে যাতে দাঁড়ান, তার চেস্টা চলছে। আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হবে এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়