শিমুল মাহমুদ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনের পূর্বে চেয়ারপার্সনের মুক্তি, পুলিশি বাধার মুখে নির্বাচনী প্রচারণা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া ৭দাবি নেতাকর্মীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে নির্বাচনে পূর্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে আন্দোলন আরো বেগমান হবে বলেও জানান মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
সোমবার (১২)নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সকাল সাড়ে ১০থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও সকাল ৮টা থেকেই থেকেই সারাদেশের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভীড় জমাতে থাকেন নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে। ঢোল তবলার আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেতাকর্মীদে দেখা যায় নেতাকর্মীদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস।
চিত্রনায়ক হোসেন খান হেলাল বলেন, আমি সিলেটের ছেলে, বিরানীবাজার সিলেট-৬ আসন থেকে আমি নির্বাচন করবো। এই নির্বাচন হবে অধিকার আদায়ের নির্বাচন, গণতন্ত্রের ফিরে পাবার নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন, তারেক রহমান উপর সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের নির্বাচন।
আমরা প্রত্যাশা করছি দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে অধির আগ্রহে বসে আছে। ইনশাল্লাহ আমরা জয় যুক্ত হবো, বাংলাদের সুশাসন ফিরে পাবে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খুব অল্প সময়ের মধ্যে মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
ঢাকা-৭ আসনের বিএনপির মনোনয়নপত্র কিনলেন রাজীয়া আলীম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এই সংঘঠনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে থাকা মানুষ আমি। রাজনীতিতে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে তাই আমি মনোনয়নপত্র কিনেছি। আশা করি জয় জনগণ আমাজে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
খুলনা -৪ আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছেন আজিজুল বারী হেলাল। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে দাবি গুলো রয়েছে সে দাবি গুলোর অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমরা দীর্ঘ দিন ত্যাগ তিতিক্ষা ও আন্দোলন সংগ্রামকে মূল্যায়ন করে মনোনয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারণ খুব কঠিন হবে। গত কাল যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দিলো তখন থেকে আমার নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে হলে রাজপথে থেকেই আমাদের জয় নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি সরকার একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এবং দেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পাবে
আপনার মতামত লিখুন :