লিয়ন মীর : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে একটি ভালো নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার কারণে সেই নির্বাচনটি ভালো হয়নি। বিএনপির এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন আসা করা যাচ্ছে আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নির্বাচনমুখি দল। এদের কোনো একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন প্রশ্নের মুখে পড়ে এবং দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্বাচনমুখি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সেই দল রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। যেমন পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপি সংগঠনিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। বিএনপিকে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে বিএনপি জোট করায় ভালো হয়েছে, সেই সাথে কিছু অসুবিধাও হবে। এই জোট একই প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। এর ফলে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে সব মিলিয়ে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার কারণে রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এতোদিন একতরফা রাজনীতি চলছিলো, এখন একটা ভারসম্য ফিরবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি নির্বাচনের তফসিল এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার যে দাবি জানিয়েছে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব। এখানে আইনগত কোনো বাধা নেই। কেননা তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সময় দরকার। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির পিছনে যুক্তি আছে।
আপনার মতামত লিখুন :