শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪৩ রাত
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেভাবে পাল্টে যায় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত

শাহানুজ্জামান টিটু : ৮ নভেম্বর, জাতির উদ্দেশ্যে সিইসি’র ভাষণ, ঘোষণা করা হলো একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। পরদিন ৯ নভেম্বর। রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা। বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সেই জনসভায় লোকসমাগম হলো ব্যাপক। ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা সেখান থেকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন তাদের ৭ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন। জনসভা শেষে রাজশাহীর একটি হোটেলে জাতীয় ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভা। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ফোন। ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশনা দেয়া হলো নেতাদের। রাতের মধ্যে পাল্টে যায় পুরো পরিস্থিতি।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা ঢাকায় ফিরলেন রোববার দুপুরে। আর এরমধ্যেই ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বসেন বিকেল ৫টায়। সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করার বিষয়ে। ডাকা হলো ২০ দলীয় জোটের শরিকদের। আসলেন জোটের শরিক ২৩ দল। তাদের মধ্যে চারটি বাদে বাকি ১৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণে মতামত দেন। এরপর দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে জোটের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ জানালেন, নির্বাচনে যেতে চান এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বিএনপিকে জানিয়েছেন তারা।

রাত ৯ টা। গুলশান কার্যালয়ে আসতে থাকেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা। ড. কামাল হোসেন ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ নেতা এই বৈঠকে যোগ দেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বক্তব্যে বেরিয়ে আসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত।

হঠাৎ নেতাদের ইউটার্ন। পাল্টে যায় হিসাব-নিকাশ। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত, যা ছিলো অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। তবে জানা গেছে, পর্দার অন্তরালে মিলেছে আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি। বিএনপির দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে অবাধে নির্বাচনে চলাফেরা সুযোগের সুযোগ সৃষ্টি। সেই আশ্বাস নাকি পেয়েছে বিএনপি। বিএনপির কারো কারো বক্তব্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচনের সিদ্ধান্ত।

গভীর রাতে যখন এই বিষয়গুলো নিয়ে পর্দার অন্তরালে আলোচনা চলছে। ১১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে। তার এই বক্তব্যের পর বোঝা যায়, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ঐক্যফ্রন্ট যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এ বিষয়ে সংলাপের পিছনেও চলেছিলো আলোচনা। একপর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস মেলে। রোববার বেইলি রোডের নিজ বাসভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেন। আর সেখানেই সাংবাদিকদেরকে তিনি ইঙ্গিত দেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তে নড়ে চড়ে বসে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। ঐক্য ফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে এসেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঐক্যফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপির একটি অংশ। তাই মতবিরোধ থেকেই যাচ্ছে বিএনপি শিবিরে। সম্পাদনা : মাহবুব আলম, রেজাউল আহসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়