জাকির আকন, চলনবিল : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার এর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজশাহীর ওই ছাত্রী দুই বছর আগে সপ্তম শ্রেনিতে ভর্তি হয় । ভর্তির পর থেকে অন্য ছাত্র্র্রীদের সাথে সে বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করছিল। মাস দুই আগে হোস্টেলে খ্ওায়া-দ্ওায়া সমস্যা দেখা দেয়। এমতবস্থায় মেয়েটির বাবা তাকে রাজশাহীতে ফিরে নিয়ে যেতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে রাখার অনুরোধ করেন এবং তার বাড়ি থেকে ্ওই ছাত্রীকে খাবারের ব্যাবস্থা করবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন । পরে মেয়েটির বাবা তাকে বিদ্যালয়ে রেখে চলে যান।
যৌন হয়রানির শিকার প্রীতি এ্যঞ্জেলা পপি (১৫) বর্তমানে নবম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত। পপি জানান, শুক্রবার প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানাজ তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে, এসময় আব্দুস সাত্তার ্ওই ছাত্রীকে দুপুরে রান্না করে খেয়ে রাতের খাবার নিয়ে যেতে বলেন । মেয়েটি দুপুরে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে রান্না করছিল এক পর্যায়ে সাত্তার মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ছাত্রীটিকে ধর্ষন করার চেষ্টা করেন ।
মেয়েটি দৌড়ে পাশেই বান্ধবির বাড়িতে আশ্রয় নেয় । পরে পপি তার বাবাকে মোবাইল করে সবকিছু বলে। মেয়েটির বাবা রাজশাহী থেকে গুল্টা আসেন। এর পর মেয়েকে নিয়ে শনিবার তাড়াশ থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার, আমি কিছু বলতে পারব না।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোতালেব হোসেন শিশির বলেন, ঘটনা বিষয়ে পুলিশ এসেছে তদন্ত করছে । আমরা ম্যানেজিং কমিটির মিটিংএ ডেকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া নিবো।
তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেয়েটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :