আদম মালেক : আর্থিক সহায়তার অভাব,ব্যবস্থাপনা সমস্য ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনও বিকশিত হয়নি বাংলাদেশের এসএমই খাত। ফলে বাড়ছে না দেশজ উৎপাদন। সৃষ্টি হয়নি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ।
বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অবদান মাত্র ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৮০ শতাংশ, চীনে ৬০ শতাংশ, জাপানে ৬৯ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০ শতাংশ শেয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের, ভারতের ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৬০ শতাংশ, চীনের ৯৯ শতাংশ, জাপানের ৯৯ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এসএমই খাতের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুরের জাতীয় ‘অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ১৭ হাজার ৩৮৪ জন ছোট উদ্যোক্তা রয়েছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১৫ হাজার ৬৬৬ জন, মাঝারি উদ্যোক্তা ৬ হাজার ১০৩ জন ও ৩ হাজার ৬৩৯ বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৫২ লাখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মজীবী মানুষের ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ নিয়োগ পেয়েছেন। কর্মীদের ক্ষতিপূরণের ৩৩ দশমিক ৮০ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। মোট স্থায়ী সম্পদের ৫৮ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে।
বাংলাদেশে এসএমই খাতের বিকাশ না হওয়ার জন্য অধিকাংশ মানুষকে বেতন নির্ভর বলেন মনে করেন তিনি। এই ধরনের সমস্যা এসএমই খাতে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রসারিত দেশ জাপানেও ১৯৬০ সালে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :