শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫৯ সকাল
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে শুরু হলো সুগারবিটের চাষ

মতিনুজ্জামান মিটু : বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সুগার বিটের চাষ। শুক্রবার  সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ সেন্টারে সুগারবিট, পশুখাদ্য এবং ব্রাউন সুগার উৎপাদন এবং রপ্তানির উপর একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশন এবং অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জনাব শহিদ নূর আকবর। প্রধান বক্তা এবং প্রশিক্ষক ছিলেন বি এস আর আই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান। বিপুল সংখ্যক কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সুগার বিটের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথি শহিদ নূর আকবর বালেন, সিরাজগঞ্জ জেলার মাটি সুগারবিট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। দুধ ও মাংসের খনি হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুরে কয়েক লাখ টন পশুখাদ্য দরকার। সিরাজগঞ্জ জেলায় সুগারবিট, পশুখাদ্য এবং ব্রাউন সুগার উৎপাদনে কৃষকদের সম্ভাব্য সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।

দেশের চিনি ও সুগারবিট চাষ পরিস্থিতির বিস্তারিত বর্ণনায় মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১৮ লাখ টন চিনি লাগে। এর মধ্যে উৎপাদন করি মাত্র ২ লাখ টন। বাকী ১৬ লাখ টন আমদানি করেই মিটাতে হয়। অথচ শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ জেলাতেই সুগারবিট চাষ করে প্রায় ৫ লাখ টন চিনি এবং প্রয়োজনীয় পশুখাদ্য উৎপাদন করা যাবে।

তিনি বলেন, প্রায় ৮০ বছর আগে ইউরোপসহ অনেক দেশ আখ চাষ বন্ধ করে সুগারবিট চাষ শুরু করে। এর কারণ- আখ ১৪ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি আখ থেকে চিনি হয় মাত্র ৬ কেজি এবং আখের ছোবরাকে শুধুমাত্র জ্বালানী হিসেবেই ব্যবহার করা হয়।

অপরদিকে সুগারবিট মাত্র ৫ থেকে ৬ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি সুগারবিট থেকে প্রায় ১৫ কেজি চিনি পাওয়া যায়। সুগারবিট থেকে গুড় ও চিনি উৎপাদন করার পর, পাল্প পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। এর পাতা সবুজ শাক, সবুজ সার এবং পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

কর্মশালার প্রশিক্ষণ ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী কৃষকদের জমি তৈরী থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত কিভাবে সুগার বিট চাষ করতে হয় সে বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়