মহসীন কবির : আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চেয়ে তিনি আবেদন করছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, রাজনীতির কারণে মাশরাফির খেলায় প্রভাব পড়বে না। মাশরাফি আজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নেবেন।
এর আগে মাগুরা-১ আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই মতবদল, রাজনীতির মাঠ থেকে আপাতত দূরে থাকছেন তিনি। এর আগে চলতি বছরের ২৯ মে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপের আগে সাকিব ও মাশরাফি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না।’
ক্রিকেটারদের সংসদ সদস্য হওয়া নতুন কিছু নয়। অর্জুনা রানাতুঙ্গা মন্ত্রী হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য হয়েছেন। শচীন টেন্ডুলকারও সংসদ সদস্য হয়েছিলেন খেলোয়াড়ি জীবনেই। না, একটু পার্থক্য আছে। ভারতীয় সংবিধানের বিশেষ বিধিবলে মনোনীত হয়ে ২০১২ সালের জুনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন টেন্ডুলকার। মাশরাফিকে সংসদে আসতে হবে গণমানুষের ভোটে জয়ী হয়ে। সব ঠিক থাকলে নড়াইল-২ থেকে নির্বাচন করতে পারেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :