আক্তারুজ্জামান : ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ওপর যখন সিলেট টেস্টের জুজু ভর করে ঠিক তখনই সামনে থেকে দলের হাল ধরেন মুমিনুল। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। ২৬০ রানের জুটি গড়ে এখনো ক্রিজে আছে এই জুটি। বিপদ থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের তরী ভিড়িয়েছেন নিরাপদ স্থানে।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের। আগের চার টেস্টের দুশো না পেরুনোর লজ্জা হঠাৎই উঁকি দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু না, সব কিছু দেখেশুনে খেলে এবং জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বাসন মুশফিক ও মুমিনুল জুটি। রেকর্ড জটি গড়ার পথে ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক তুলে নেন মুমিনুল। আর তার দেখানো পথে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নিয়েছেন সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৮৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৮৮ রান। মুমিনুল ১৫৭ ও মুশফিক ১১০ রানে ক্রিজে আছেন।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে । শুরুতে তারা হোচট খায়।প্রথমে ইমরুল কায়েস সাজ ঘরের ফিরে যান । সপ্তম ওভারে জার্ভিসের বলেই হয় শুরুর সর্বনাশ। শর্টার লেন্থের বল ইমরুল বুঝে ওঠার আগেই ভেতরের কোনায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপারের হাতে। এই জার্ভিসই এক ওভার বিরতি দিয়ে ফেরান লিটন দাসকে। মিড উইকেটে অলস ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মাভুতার হাতে।
নতুন নামা মিঠুন অভিষেকটা রাঙাতে পারলেন না সফলতায়। বরং বিবেচনাহীন শট খেলে ব্যর্থতা সঙ্গী করে ফিরেছেন। তিরিপানোর একেবারের বাইরের বল অযথা খেলতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিঠুন। আর এই অভিষেকে ৪টি বল খেলে বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
দিনের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পতনের মুহূর্ত তৈরি করেছিলেন জার্ভিস। তার শর্টার লেন্থের বল হাল্কা বাঁক নিয়েছিলো শরীরের একটু বাইরে থেকে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাচ আউটের আবেদন করলে আম্পায়ার ক্যাটেলবোরো আঙুল তুলে দিয়েছিলেন। লিটন রিভিউ নিলে বাতিল হয়ে যায় সেই আবেদন।
আপনার মতামত লিখুন :