শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:২১ সকাল
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খাসোগি হত্যার টেপ সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রকে দিল তুরস্ক

ডেস্ক রিপোর্ট : তুরস্ক সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার টেপ রেকর্ডিং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশকে দিয়েছে। শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান একথা জানান।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, এরদোয়ান আবারও বলেছেন, সৌদি আরব আগে থেকেই জানতো, খাসোগিকে কারা হত্যা করেছে?

সৌদি শাসকগোষ্ঠীর সমালোচক খাসোগিকে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করা হয়।

প্রথমে সৌদি আরব বলেছিল, খাসোগি অক্ষত শরীরে কনস্যুলেট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।

এরপর কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি আরব এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা খাসোগি হত্যার দায় স্বীকার করলেও এখনও মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাজপরিবারও এই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছে।

সৌদি যুবরাজ সালমান খাসোগিকে ‘বিপজ্জনক ইসলামপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এই খবরও অস্বীকার করেছে তারা। খাসোগিকে হত্যার দায় স্বীকার করার আগে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে ফোনালাপে সালমান এই মন্তব্য করেন।

খাসোগিকে ঠিক কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি তার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন।

প্রথমে তুরস্কের মিডিয়া বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি বলছিল, খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু, গত সপ্তাহে তুরস্ক জানিয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কনস্যুলেটে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই খাসোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

কোনো মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, এটা গলিয়ে ফেলা হয়েছে।

গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগি তার আগের তালাকের কাগজপত্র আনতে যান। এ সময় কনস্যুলেটের বাইরে তার বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজের কাছে নিজের ফোনটি রেখে যান। তিনি ফিরে না এলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টাকে ফোন করার নির্দেশও হাতিসকে দিয়ে যান খাসোগি।

ওইদিন মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর হাতিস তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন।

খাসোগি সৌদি যুবরাজ তথা রাজপরিবারের সমালোচনা করায় সৌদি পত্রিকায় তার কলাম বন্ধ করে সতর্ক করে দেয়া হয়। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে গিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় লেখালেখি করছিলেন।

খাসোগির পরিচিত একজন গণমাধ্যমকে জানান, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও চেষ্টা করেছিল সৌদি সরকার।
সূত্র : পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়