নূর মাজিদ : সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার এক দশক পরে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার পথে এগিয়ে চলেছে। ২০০৭-৮ অর্থবছরের ওই মন্দা পূর্ববর্তী সময়ের মতোই বর্তমানে বিশ্বের সুপার রিচ খ্যাত মুস্টিমেয় কিছু ধনিক সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সাধারণ জনগোষ্ঠীর আয়ের বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। এই বিষয়ে চলতি মাসের শুরুতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকাশিত সুইস ব্যাংকের দুই দুটি প্রতিবেদনে এমন চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ক্রেডিট সুইসে প্রতিবেদন জানায়, বিশ্বে ধনীদের জন্য অভেদ্য দুর্গ হয়ে উঠেছে যুক্তরাজ্য, ৫ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে এমন ধনীদের সম্পদ দেশটিতে আরও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এই প্রবৃদ্ধি দেশটির সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির চাইতেও বহুগুণ বেশি। বর্তমানে দেশটিতে এমন ৪ হাজার ৬৭০ জন ধনী রয়েছেন। যাদের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের বাহিরেও সামগ্রিক বিশ্ব পরিস্থিতি একই দিকে নির্দেশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৭০ হাজার ৫৪০ জন অতি ধনী রয়েছেন। চলতি বছর এই তালিকায় আরও ৬ হাজার ব্যক্তি নাম লিখিয়েছেন। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে যা ধনীদের সর্বাধিক বৃহৎ জনসংখ্যা। এরপরেই রয়েছে চীনা ধনীদের অবস্থান। সেখানে প্রায় ১৬ হাজার ৫১০ জন ধনকুবের বসবাস করেন। এই সকল ধনীরা সমগ্র বিশ্বের মোট স¤পদের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করেন।
তবে শুধুমাত্র ৫ কোটি ডলারের বেশি স¤পদ রয়েছে এমন ধনীদের মাধ্যমেই এই হিসেব সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব নয়। চলতি বছর প্রকাশিত ইউবিসি- পিডব্লিউসি প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অসম্ভব রকম সম্পদের অধিকারি শতাধিক কোটি ডলারের মালিক এমন ধনীদের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ২ হাজার ১৫৮ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন এবং প্রতিবছর তাদের স¤পদ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার করে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপে এই সকল ধনীদের স¤পদের পরিমাণ অধিকহারে বাড়ছে। তবে সম্প্রতি চীনেও একই ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাত্র একযুগ আগেও সেখানে মাত্র ১৬ জন বিলিয়নিয়ার ছিলেন, বর্তমানে সেখানে ৩৭৩ জন বিলিয়নিয়ার বসবাস করেন। ন্যাকেড ক্যাপিটালিজম
.
আপনার মতামত লিখুন :