নূর মাজিদ : দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করতে চীনের প্রতি কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে চলমান চীন-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে গত শুক্রবার চীনের প্রতি ওই অঞ্চলে সামরিকায়ন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। চলমান বৈঠকে দেশদুটির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যবিরোধ নিস্পত্তিসহ, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত নৌ-চলাচল, তাইওয়ানের স্বশাসন এবং জিংজিয়ানে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা দমননীতির মতো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। চলতি নভেম্বরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে শি-জিনপিং ও ট্রাম্পের মাঝে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই আলোচনার ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিরোধ নিরোসনে ওয়াশিংটনে আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন তারা। এই সকল বৈঠকের আলোচ্যসূচি এবং প্রাথমিক কাঠামো নির্ধারণ করতেই বর্তমানে চীনা কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনায় অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন চীনা সরকারের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
এই আলোচনায় মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গেছেন চীনা কর্মকর্তারা পাল্টা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির বাণিজ্যযুদ্ধ আখেরে দুই পক্ষের জন্যই সমূহ ক্ষতির কারণ হবে। এই ধরণের ঘটনা এড়াতে তারা দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ ও সংলাপের পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।’
তবে এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানাবিধ অভিযোগ স্বত্বেও দুই দেশের স¤পর্কোন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই সংলাপ পরবর্তী এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক প¤েপও বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের মতো একঘরে করে রাখার নীতিগ্রহণের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করার পক্ষেও সমর্থন করছেনা। আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমেই দ্বিপাক্ষিক বিরোধের সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে চীনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই উল্লেখ করেন তিনি। সিএনবিসি
আপনার মতামত লিখুন :