শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৪ রাত
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন কি তবে সময়ের ব্যাপার মাত্র?

মাসুদা ভাট্টি : গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাঁচ বছরের দেশ শাসনের আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটলো। এখন সরকার নামমাত্র ক্ষমতায় কিন্তু দায়-দায়িত্ব সকলই নির্বাচন কমিশনের। প্রশ্ন হলো এই নামমাত্র ক্ষমতার কতোটুকু সরকার বজায় রাখতে সক্ষম হবে আর নির্বাচন কমিশনই বা তাদের প্রাপ্ত ক্ষমতার কতোটুকু প্রয়োগ করতে পারবেন?

আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অভাবনীয় সংলাপ-দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করেছি। আপাতঃভাবে অনেকেই হয়তো বলবেন যে, এই সংলাপ থেকে কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি। কিন্তু একথা নিশ্চয়ই অনেকেই স্বীকার করবেন যে, এই সংলাপ দু’টি বিবদমান পক্ষকে সরাসরি আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে, যা বাংলাদেশে কেবল বিরলই নয়, অকল্পনীয়ও বটে। এর আগে প্রতিটি সংলাপ বা আলোচনা হয়েছে রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় সারির নেতৃত্বের সঙ্গে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে, যাদের বেশিরভাগই বিদেশি। এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি আমন্ত্রণে তার নেতৃত্বেই রাজনৈতিক পক্ষগুলো আলোচনা করেছে এবং ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশে অব্যাহত থাকলে সংকট নিরসনে বড় কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। এই সংলাপ আরো একটি বিষয় আমাদের সামনে স্পষ্ট করেছে যে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন পারিবারিক প্রতিহিংসায় পরিণত হয় তখন তা দেশ বা জাতি কারো জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনে না। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে যখন রাজনীতি যায় তখন সকল পক্ষ একত্রে বসে অন্ততঃ সংকট নিরসনের চেষ্টাটুকু করা যায় এই সংলাপের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক এটিই।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি উল্লেখ করা প্রয়োজন তাহলো, এই সংলাপ-শেষে কোনো পক্ষই রাজনৈতিক কোনো অচলাবস্থার দিকে দেশকে টেনে নিতে আগ্রহী হননি। বরং উভয়পক্ষ দাবি সম্পর্কে একমত না হতে পারলেও তারা পথ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ এখনও নেননি। তার মানে এমনটাও হতে পারে যে, আগামি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমরা দেখতে পাবো যে, সকল পক্ষ আরেকবার আলোচনায় বসে একত্রে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্মত হয়েছেন। হতে পারে এটি আমার কল্পনা এবং আমাদের ইতিবাচক মন এমনটাই চায়। কিন্তু এটা কি একেবারেই অসম্ভব? মনে হয় না।

আমরা এমন একটি সংসদ কল্পনা করতেই পারি যেখানে একই সঙ্গে শেখ হাসিনার মতো প্রজ্ঞাবান ও বাংলাদেশ-প্রেমিক নেতা রয়েছেন, রয়েছেন ড. কামাল হোসেনের মতো প্রাজ্ঞ ও গণতন্ত্রমনা ব্যক্তিত্ব এবং সকলে মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছেন। আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বেশ কিছুদিন আগেই এরকম একটি স্বপ্নের কথা আমাদের জানিয়েছেন এবং তিনি এ বিষয়ে প্রতিদিনই বলে চলেছেন। কেন যেনো এই স্বপ্নকে আর আমার কাছেও দুরাশা মনে হচ্ছে না, বরং মনে হচ্ছে এই স্বপ্নই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে দ্রুতই।

শুরুতেই বলেছি যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতা তৈরি হবে। সে বাস্তবতায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে চাইলে সেটা হবে না, সেও সত্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা এমন কোনো ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না যাতে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ভার কেবল সরকারের নয়, সরকারের বাইরে সকল রাজনৈতিক দলেরও। এবং সবচেয়ে বেশি হলো নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন এবার যদি তাদের সেই সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য তা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক অর্জন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি স্থায়ী ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ভেতর নিয়ে আসাটাই যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে সকলের তাহলে এবারের নির্বাচন হবে তার লিটমাস টেস্ট বা সমাপনী পরীক্ষা। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়