নূর মাজিদ : চলতি অক্টোবরে আংশিক কমেছে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে এই ঘটনা দেশটির মুদ্রা ইউয়ানকে শক্তিশালী করার রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের অংশ হতে পারে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদগণ। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি মাসে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমে ৩ লাখ কোটি ডলারের সামান্য উর্দ্ধে অবস্থান করছে। চীনা মুদ্রা ইউয়ানকে শক্তিশালী করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার বিক্রি করার প্রেক্ষিতে এমনটি হয়েছে। তবে ইউয়ানকে শক্তিশালী করতে ঠিক কি পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হয়েছে সেই সংখ্যা উল্লেখ করেনি চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে চীনা কতৃপক্ষ দেশটির রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা দিতে ইউয়ানের দর ডলারের কম রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও, ইতোপূর্বে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ইন্দোনেশিয়ার অনুষ্ঠিত বালিতে আইএফএম-এর বার্ষিক বৈঠকে চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ই গ্যাং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে বাণিজ্য যুদ্ধের উপকরণ হিসেবে নিজ মুদ্রাকে ব্যবহার করবেনা চীন। এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি বাণিজ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন। এদিকে আগামী ডিসেম্বর মাসে ট্রা¤প এবং শি জিনপিং’য়ের মাঝে অনুষ্ঠেয় বাণিজ্য সংলাপে চীনা মুদ্রার দরের বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে। মূলত ডিসেম্বর মাসের রাষ্ট্রপতি পর্যায়ের ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতেই চীন ইউয়ানকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে। ইতোপূর্বে চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ মুদ্রা অবমুল্যায়িত করার অভিযোগ করলেও চলতি মাসে অর্থ মন্ত্রণালয় চীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেনি। তবে দপ্তরটির শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, তারা গভীরভাবে বেজিং’য়ের মুদ্রানীতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এপি
আপনার মতামত লিখুন :