আরিফ উদ্দিন, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে মা ফাতেমা বেগমের শয়ন ঘরে পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখে মেয়ে কল্পনা আক্তারও বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ধামাইল ঠাকুরপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ফাতেমার হার্টএটাকে মৃত্যু নাকি কেউ কৌশলে হত্যা করে ফেলে রেখেছে এ নিয়েও চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক দুটি ইউডি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আদমদীঘির ধামাইল ঠাকুরপাড়ার আব্দুর রহমান তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩২)কে বাড়ীতে রেখে আব্দুর রহমান তার মেয়ে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী কল্পনা আক্তার (১৫) কে সাথে নিয়ে গত সোমবার স্বশুড়ালয় বগুড়ার কাহালুতে বেড়াতে যান। তারা সেখানে রাত যাপন করে পরদির গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি ধামাইল গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়িতে পৌঁছেই শয়ন ঘরে মায়ের নিধর মরদেহ দেখেই কান্নাকাটির ও চিৎকার করতে থাকে মেয়ে কল্পনা। এক পর্যায়ে সবার অজান্তে কল্পনা বিষপান করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বাড়িতে স্ত্রীর মরদেহ রেখেই মেয়েকে বাঁচাতে আব্দুর রহমান রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় মেয়ে কল্পনাও মারা যায়।
ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, মা মেয়ের মৃত্যু ঘটনাটি রহস্যজনক। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলেই রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে মা ও মেয়ের মরদেহ বাড়ীতে পৌঁছিলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :