আদম মালেক : শাখা খোলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নির্দেশনা মানছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শাখার ক্ষেত্রে শহরে ও গ্রামে বৈষম্য বিরাজ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির শাখা গ্রামে থাকলেও নেই কোনো বিদেশী ব্যাংকের শাখা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট শেষে ব্যাংকগুলোর মোট শাখা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৪৩টি। এর মধ্যে শহরে ৫ হাজার ২৩৪টি এবং গ্রামে ৪ হাজার ৯০৯টি শাখা রয়েছে। গত জুলাই শেষে ছিল ১০ হাজার ১৩১টি। এর মধ্যে শহরে ৫ হাজার ২২৮টি এবং গ্রামে ৪ হাজার ৯০৩টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মোট শাখা ৩ হাজার ৭৪১টি। এর মধ্যে গ্রামে ১ হাজার ৯৮১ এবং শহরে ১ হাজার ৭৬০টি। সোনালী ব্যাংকের মোট ১ হাজার ২১০টি শাখা এর মধ্যে শহরে ৬৯৯টি ও গ্রামে ৫১১টি। জনতা ব্যাংকের মোট ৯১২টি এর মধ্যে শহরে ৪৫৬টি এবং গ্রামে ৪৫৬টি। অগ্রণী ব্যাংকের মোট ৯৪৩টি এর মধ্যে শহরে ২৮৬ এবং গ্রামে ২৭৯। বেসিক ব্যাংকের মোট ৬৮টি এর মধ্যে শহরে ৪৬ এবং গ্রামে ২২টি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) মোট ৪৩টির মধ্যে শহরে ৩০ এবং গ্রামে ১৩টি। এ ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন ৯ ব্যাংকের মোট শাখা ৬৮টি। শাখাগুলো সবই শহরকেন্দ্রিক।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সরকারি ব্যাংকের শাখা শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। কারণ একটি শাখা শহরে খুললে অপর শাখাটি গ্রামে খোলার যে বাধ্যবাধকতা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সরকারী ব্যাংক মানলেও বেসরকারী ব্যাংক পিছিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :