মাসুদ আলম : রাজধানীর জুরাইনে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বড়ভাই শেখ ইসলাম পাভেলকে হত্যার ঘটনায় ৪ দিন পার হলেও ধরা পড়েনি কিশোর বখাটেরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬/৮ জনের তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। খুনিরা কিশোর গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্য। তারা ওই এলাকায় বিভিন্ন সময় স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শ্যামপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল হোসেন বলেন, উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় পাভেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের দাবী হত্যাকাণ্ডে ৮ জন জড়িত। তবে সবার নাম বলতে পারছে না। প্রাথমিকভাবে ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে জুরাইন মাজারগেট এলাকায় পাভেলকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বলছেন, পাভেল হত্যায় জড়িত তুহিন, শাহীন, মাসুম, এরফান ও রাব্বি এবং তাদের সহপার্ঠীরা কিশোর গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে ১০/১৫ কিশোর রয়েছে। এরা রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকে তাদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে। পাভেলের ছোট বোন কলেজ ছাত্রী তামান্নাকে ২ বছর ধরে তুহিন ও তার সহযোগিরা উত্ত্যক্ত করতো। শনিবার প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিল সে। এসময় তুহিনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। তুহিনকে চড় থাপ্পর মেরেছিল সে। তারই জের ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে তুহিন ও তার সহযোগিরা। জুরাইন রেলগেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো পাভেল । পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
পাভেলের চাচা সবুজ শিকদার বলেন, খুনিরা এলাকার প্রভাবশালী বখাটে। হত্যাকারীদের এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে আর কোন মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করে।
আপনার মতামত লিখুন :