রাশিদ রিয়াজ : ১২ বছর আগে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে কোমায় চলে যান ওয়াং শুবাও। তার মা ওয়েই মিংইং তাতে সারিয়ে তুলতে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় খরচ করার পর ধার করেছেন আরো ১৩ হাজার পাউন্ড। তবু হাল ছাড়েননি। মা ও ছেলের এই অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত গেয়ে উঠেছে জীবনের জয়গান। এক দশকের বেশি সময় দিনরাত তার মা অপেক্ষার প্রহর পার করেছেন, এই বুছি শুবাও জেগে উঠবেন। উঠেছেনও। জেগে উঠে শুবাও প্রথমে দেখতে পান তার মা নিরবে চোখের পানি ফেলে তাকে আদর করছেন। যেন মায়ের এই জাদুকরী স্পর্শে মৃত্যু জীবন ফিরে পেল। দি সান
ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে এতই অভাবে পড়ে যান ওয়েই যে মাসের পর মাস কিছু না খেয়েই পার করে দেন। তার ওজন সাড়ে ৪ স্টোন কমে যায় (এক স্টোন ১৪ পাউন্ড)। ২০০৬ সালে চীনের শ্যাংডনে শোগুয়াং’এর একটি সড়কে ৩৬ বছরের শুবাও সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন। তার বাবা মারা যাওয়ায় কোমায় চলে যাওয়া শুবাও’এর সমস্ত ভার পড়ে ওয়েই’এর ওপর। প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে ওয়েই তার ছেলে শুবাও’এর মুখ ধুইয়ে দেন। এরপর গোসল, খাওয়ানো আর শরীর ম্যাসেজ করে অপেক্ষায় থাকতেন কখন সে তাকে মা বলে ডেকে উঠবে। কখনো কখনো খাবার খেতে ভুলে যেতেন। ঘরে কোনো খাবার না থাকায় তার ঠোঁট শুকিয়ে এলে শুধু পানি খেয়ে দিনের পর দিন পার করে দিয়েছেন সন্তানের জেগে ওঠার আশায়। অক্টোবরের শেষ দিকে সত্যি সত্যিই শুবাও জেগে মায়ের দিকে তাকে এক ঐশী হাসিতে তাকিয়ে থাকেন। এখনো কথা বলতে না পারলেও মা’কে ঠিক চিনতে পারছেন শুবাও। ওয়েই বিশ্বাস করেন একদিন শুবাও মা’ বলে ডেকেও উঠবেন।
আপনার মতামত লিখুন :