এস এম নূর মোহাম্মদ : সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম। ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিমও খায়রুল আলম চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ১৬ মার্চ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে এই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ শত কোটি টাকা আদায় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। পরে এসব অর্থ ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করে একাধিক প্রতিষ্ঠান। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এস. আলমগ্রুপের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ কোটি টাকা, দি কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডসকোম্পানি লিমিটেড এবং বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেডকে ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ, মেঘনাসিমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজকে ৫২ কোটি, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডকে ১৫ কোটি, ইউনিকইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডকে ৯০ লাখ, ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজকে ৭০ লাখ, ইউনিকহোটেল অ্যান্ড রিসোর্টকে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৭কোটি ১০ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডকে ৩৫ কোটি এবং ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিডেভেলপমেন্টের এক পরিচালককে ১৮৯ কোটি ও ইউনিক ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারেরসত্ত্বাধিকারীকে ৬৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। যার পরিমাণ ৬’শ ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :