শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৬ রাত
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘রাজনৈতিক কারণেই হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ’

রবিন আকরাম : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমিদের ‘শোকরানা মাহফিল'-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয়া হয়েছে। কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেয়ায় এই উপাধি দেয়া হয়।

দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্স-এর সমমান দেওয়ায় বিশিষ্টজনেরা বলছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্যেই হেফাজতের সাথে সম্পর্ক করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন সামনে রেখে মূলত কওমি দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্স-এর সমমান দিয়েছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কওমি দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্স-এরসমমান দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক কারণে হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনোটিই কাজে দেবে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, ওদের মধ্যে যে আওয়ামী লীগকে সবাই ভোট দেবে, তা আমি মনে করি না। হয়তো কিছু লোক দিতে পারে। তবে এর মধ্যে অনেক হিসাব বা কৌশল থাকতে পারে, যা এখনই বোঝা যাবে না।

প্রসঙ্গত, হেফাজতে ইসলাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরের ঘটনায়। তারা ওই সময় সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের ঢাকায় এনে সমাবেশের নামে ১২ ঘণ্টার মতো শাপলা চত্বর দখল করে রেখেছিল। ১২ ঘণ্টা ধরে সন্ত্রাস, সহিংসতা এবং সংঘর্ষে তখন কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তখন তাদের ১৩ দফা দাবিতে শাপালা চত্বরে শান্তিপূর্ন সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল।

ওই ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৮৩টি মামলা হয়। হেফাজতের অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন অবশ্য তাঁরা সবাই জামিনে মুক্ত। আর মামলাগুলো নিয়েও তেমন কোনো তৎপরতা নেই সরকারের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়