আদম মালেক : ভিটেমাটি বিক্রি করেও বিদেশ যেতে হয় বিদেশ গমনেচ্ছুক শ্রমিকদের। তাই তাদের সহায় সম্বল বাঁচাতে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে তহবিল গঠন থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, যেসব শ্রমিক বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিদেশে যেতে চান তাদের কম সুদে ঋণ দিতে তহবিল গঠন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য গেল বছর ৫ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির সংগে বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য তহবিল গঠনের বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচান করেছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলির কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। তাই কমিটি তাদের বৈঠকে বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য পুন:অর্থায়ন তহবিল গঠন থেকে পিছিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন বলেন,প্রবসীদের কর্মসংস্থানে আমাদের ঋণদান এখনও শুরু হয়নি। গ্রামাঞ্চলে আমাদের শাখা নেই। আগামী বছরের মধ্যে বিদেশ গমনেচ্ছুক শ্রমিকদের জন্য ঋণ বিতরণ সম্ভব হবে।
পুনঃঅর্থায়ন তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব ব্যাংক বিদেশমুখী শ্রমিকদের ঋণ দেয় তাদের মধ্যে ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’ দিচ্ছে মোট ঋণের ৯৫ ভাগ। বাকি ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিদেশমুখী শ্রমিকদের জন্য প্রোডাক্ট (ঋণের ধরন) রাখলেও তারা শ্রমিকদের ঋণ দেয় না। মূলত, এ ঋণ জামানতহীন হওয়ার কারণে ব্যাংকের ম্যানজাররা ঝুঁকি নিতে চান না। এ ছাড়া বিদেশে যাওয়ার বৈধ কাগজপত্রের বিপরীতে এ ঋণ দেওয়া হয়। অনেক বিদেশগামীর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ব্যাংকমুখী হন না। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেশি। এসব কারণে বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হলেও, ওই টাকা নেওয়ার গ্রাহক পাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোও তেমন আগ্রহ দেখায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :