মাহাদী আহমেদ : ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগর থেকে লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের সময় এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সমুদ্রে নামার পর সিয়াচরুল আন্তো (৪৮) মারা যান বলে জানায় দেশটির তল্লাশি ও উদ্ধার এজেন্সি।
তবে তার মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আন্তোর পরিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত না করে দ্রুত শেষকৃত্যানুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞ ডুবুরিদের অন্যতম আন্তো ২০১৪ সালে বোর্নেও দ্বীপে এয়ারএশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের তল্লাশি অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন।
গত সোমবার লায়ন এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়ে জাভা সাগরে তলিয়ে যায়।
উড়োজাহাজটিতে ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন। যাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীদের মৃতদেহ বহনকারী ৭১টি ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বেশিরভাগ মৃতদেহ টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় পরিচয় সনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।
ডুবুরিরা সমুদ্র তলদেশে উড়োজাহাজটির দ্বিতীয় ‘ব্ল্যাকবক্স’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার তারা আংশিক নষ্ট হয়ে যাওয়া ‘ককপিট ডেটা রেকর্ডার’ উদ্ধার করে এনেছে। সেটির তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জেটি৬১০ ফ্লাইটের পাইলট উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাকার্তা ফিরে আসার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়ছিল। তারপরও উড়োজাহাজটি কেন ফেরত এলো না তা এখনও রহস্যের অতলে।
উড়োজাহাজটি যে এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে সমুদ্রের গভীরতা মাত্র ৩০ মিটার। কিন্তু প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এবং তলদেশে পাইপলাইন থাকার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। - বিডি নিউজ ২৪, এবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :