নূর মাজিদ : শিক্ষাসফরে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ১৭ বছরের কিশোর দেশটির মাউন্ট ভারনন অঞ্চলে এক ৬০০০ বছর পুরানো পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেছেন। এটি একটি প্রাচীন শৈলকুঠারে ব্যবহৃত ধারালো পাথর। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ভূমিপুত্র রেড ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর কোন সুদক্ষ কারিগর এই কুঠার তৈরি করেছিলেন বলেই অভিমত পোষণ করেছেন মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। গতকাল বুধবার দেশটির পুরাতত্ত্ববিদদের বরাত দিয়ে প্রথম এই খবর প্রকাশ করে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। পত্রিকাটি জানায়, গত সপ্তাহে আর্চবিশপ হোবান হাইস্কুলের একদল শিক্ষার্থী ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের জর্জ ওয়াশিংটন স্টেটে আফ্রিকান- আমেরিকান দাসদের পুরোনো একটি সমাধিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের উদ্দ্যেশ্যে শিক্ষাসফরে যায়। সেসময় দুই ১৭ বছর বয়স্ক কিশোর সামাধিক্ষেত্রের মাটি খনন করে এই প্রাচীন পুরাকীর্তির সন্ধান পান। সেসময় তারা প্রাপ্ত নিদর্শনটির গুরুত্ব ও এর প্রাচীনত্ব স¤পর্কে ধারণাও করতে পারেন নি। তবে নিদর্শনটি সন্ধান পাওয়ার পরেই তারা স্থানীয় পুরাতত্ত্ববিদদের এর স¤পর্কে অভিহিত করেন। এরপর গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পেশাদার পুরাতত্ত্ববিদেরা প্রস্তরখন্ডটির বয়স স¤পর্কে নিশ্চিত করেন।
এই বিষয়ে মাউন্ট ভারনন অঞ্চলের পুরাতত্ত্ব সংগ্রহশালার প্রধান পুরাতত্ত্ববিদ শন ডেভলিন বলেন , ‘এ ধরণের নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া খুবই দুর্লভ বিষয়। এর মাধ্যমে আমরা এই ভূমিতে বসবাসকারী আদি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও তাদের দ্বারা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিবর্তন স¤পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারব।’
তার ধারণা আফ্রিকান দাসদের সমাধিক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার আগে ওই স্থানে রেড ইন্ডিয়ান অধিবাসীদের প্রাচীন কোন বসতি ছিলো। ইউরোপ থেকে আসা অভিবাসীদের দ্বারা স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠী আগ্রাসনের শিকার হয়ে ওই বসতির স্থান পরিবর্তনে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য ষোড়শ ও সপ্তাদশ শতক থেকে ইউরোপ থেকে আসা অভিবাসীদের নির্যাতন ও আগ্রাসনে স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানরা ক্রমেই তাদের বাসভূমির অধিকার হারিয়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। ইতিহাসবিদদের ধারণা কয়েক শতকের ব্যবধানে প্রায় ১০ কোটি স্থানীয় আদিবাসীদের হত্যা করে অভিবাসী ইউরোপীয় জনগোষ্ঠী ও তাদের স্থাপিত সরকার। গিজমোডো
আপনার মতামত লিখুন :