নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুটবলে আশা করা ঠিক না। তবুও নারী ফুটবল বলে একটু আশা। কিন্তু সে আশাও নিভে যায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের দেখেই। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকায় ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্টের প্রাথমিক বাছাইয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে না বাংলাদেশ। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতা অর্জন আর নিজেদের উন্নতিটা পরখ করে নেওয়াই লক্ষ্য তার।
আগামী ৮ নভ্ম্বের বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডের ‘সি’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে। মঙ্গলবার মিয়ানমারে রওনা দেবে দল। গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষ মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
প্রাথমিক পর্বের বাছাইয়ে চার গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দুই রানার্সআপ খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। সেখানে আগে থেকেই আছে উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম। দ্বিতীয় রাউন্ড পেরুনোর পর খেলতে হবে আট দল নিয়ে বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্ব। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য পথটা বেশ কঠিন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে রোববার সংবাদ সম্মেলনে কোচ রব্বানী তাই বাছাইপর্ব নিয়ে বড় কিছু পাওয়ার আশা না করার কথা জানান। ‘অন্যদের চেয়ে আমরা অভিজ্ঞতা ও বয়সে পিছিয়ে থাকব। তবে এই মেয়েরা দুই বছর ধরে এক সঙ্গে লড়াকু ফুটবল খেলছে, আমরা সেই মেজাজ ধরে রাখতে চাই। এখানে ভারত ও নেপালের বিপক্ষে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু তারা এখনও আমাদের চেয়ে এগিয়ে। এখানে আসলে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করব।’
‘২০১৬ সালে সাফে ভারতের সঙ্গে খেলেছিলাম। এখানে আমরা পরখ করতে চাই তাদের তুলনায় আমরা কতটা উন্নতি করেছি। তবে ২০১৬ সালের চেয়ে আমরা আরও ভালো খেলতে চাই।’
গত সাফে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরে ফাইনালে তাদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল দল। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সাফের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান মিয়ানমারে।
‘ভারত শক্তিশালী। তাদের চেয়েও শক্তিশালী মিয়ানমার। আমরা তাই কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে যাব না। তবে ভারত ও নেপালের সঙ্গে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে, সেহেতু আমাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা থাকবে।’
আপনার মতামত লিখুন :