শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুলনায় ৮৬ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ

শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা : ২৬ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনায় ৮৬ জন নেতা-কর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ অভিযোগ করেন। কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, গত মাসে সংবাদ সম্মেলন বলেছিলাম, গায়েবী মামলা ১৫টি, গ্রেফতার ৫০ জনের মতো, হাজার হাজার কমীদের বাড়িতে অভিযান।

সেই সময়ে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এমনকি নির্বাচন কমিশনকেও স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে, প্রি-ইলেকশন ওয়ার্ক করার জন্য বিএনপি অফিসগুলো খুলে দেয়া, পুলিশী ও গোয়েন্দা নজরদারী পত্যাহার করা এবং অর্থবহ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সহায়তার দাবি জানিয়েছিলাম। এরপর কয়েকটা দিন বন্ধ ছিলো। কিন্তু আবারও শুরু হয়েছে ভয়াল রূপ, অমানবিক আচরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং একটি নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। এই প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বাচতে চায়।

২৬ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত ৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগের ৪২ জন গ্রেফতার ছিলো তাদের সবাইকে এখনো পর্যন্ত মুক্ত করতে পারেনি। স্থানীয় আদালত থেকে জামিন পাওয়া যায় না, যে কারণে হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়। এ জন্য এক মাস, দেড় মাস দুই মাস একজন কর্মীদের বিনা অপরাধে সাজানো-পাতানো গায়েবী মামলায় নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এই দলের রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এই দল নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন দল নয়। আপনারা কেন আমাদের রাজনীতি করতে দিবেন না। বাড়িতে ঘুমাতে দেবেন না, কেন অফিসে আসতে দেবেন না, কেন ধরে নিয়ে নিপীড়ন করবেন।

সরকারকে বলতে চাই আইনশঙ্খলা বাহিনী কার আদেশবলে কাজ করছে। তারমানে কি সরকারের মধ্যে সরকার আছে, পরিবার আছে, সরকারের মধ্যে ভ্রাতুষ্পুত্র আছে ? যাদের ইঙ্গিতে এই কাজগুলো হচ্ছে। এটি একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। গত সিটি নির্বাচনে খুলনা মডেলের ভোট ডাকাতির, যে সন্ত্রাসের চেহারা, ভয়াবহ রূপ দেখেছি এই সেই রূপকে আবার সরকার হাজির করেছে। বলেছিলাম আমরা নির্বাচনের ময়দান থেকে যাবো না। আমরা শেষদিন পর্যন্ত তাদের চেহারা দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। সে সময়ে ২৫০-৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিং এজেন্টদের আটকে রাখা হয়েছে, বাড়ি থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, দাবড়ানো হয়েছে। সেই চেহারা আবার দেখতে পারছি। এ জন্য বিশ্বাস হয় না শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো হতে পারে। আর তাইতো বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট দিয়েছে সাত দফা।

তিনি বলেন, মাছের বাজারে গিয়ে কাজ করা কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়। হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশিং কমিটির নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এরা বিএনপি করে এদের গ্রেফতার করুন। খুলনায় মধ্যযুগীয় কায়দায় নিপীড়ন চলছে। এ অবস্থার অবসান চায়। বিএনপি অফিসের স্টাফ বড় মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পিয়নরা অফিসে আসতে ভয় পায়। কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়