শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আসছে পদযাত্র, লংমার্চের মত কর্মসূচি

শাহানুজ্জামান টিটু : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬ নভেম্বর সমাবেশ থেকে দেশবাসীকে নতুন বার্তা দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। লং মার্চ, পদযাত্রা, জেলায় জেলায় সমাবেশসহ জনসম্পৃক্ত কিছু ঘোষিত হতে পারে ওই জনসভা থেকে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে গুমোট অবস্থার কিছুটা পরির্বতন হয়েছে। রাজনীতিতে এই মুর্হুতে এক ধরণের শীতল হাওয়া বইছে। নানা জল্পনাকল্পনার মাঝে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তফশিল ঘোষণার প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তফশিল ঘোষণার আগে প্রধান নিবার্চন কমিশন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এরপর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। এদিকে তড়িঘড়ি তফশিল ঘোষণা না করতে শনিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বিকেলে নির্বাচন কমিশনকে পৌঁছে দিয়েছে।
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে তারা চলমান সংলাপ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

সাত দফা দাবির সমর্থনে জনমতকে সঙ্গে নিতে ৬ নভেম্বর রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। এই সময়ের মধ্যে সরকার তাদের অবস্থান পরিস্কার না করলে ওইদিনই সাত দফা দাবির সর্মথনে জনগণকে নতুন বার্তা দেবে ঐক্যফ্রন্ট। ওই সমাবেশ থেকে সরকারকে সাত দফা দাবি মেনে নেওয়া এবং সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানে শেষবারের মত আহবান জানানো হবে।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব জানান, সাত দফার ভিত্তিতে দেশেবাসীকে সম্পৃক্ত করতে নানা ধরণের কর্মসূচি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। সারাদেশে সভাসমাবেশ, লং মার্চ, পদযাত্রার মত কিছু কর্মসুচি নিয়ে আমরা ভাবছি। আমরা অপেক্ষা করছি সংলাপে পর সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়। তার ওপর ভিত্তি করে কর্মসূচি ঘোষিত হবে।
ঐক্যফ্রন্টের ৬ তারিখের জনসভা থেকে নতুন একটি বার্তা আসবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাত দফা দাবি আদায়ে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এই কর্মসূচিকে আন্দোলনের কর্মসূচি বলতে পারেন। কারণ, জনসভাও আন্দোলনের অংশ। এই জনসভা থেকেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে। এবং সেখান থেকেই আগামী দিনের পথচলার নির্দেশনা পাবো।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম বলেন, রাজপথের আন্দোলন থেকে উত্তম হবে সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকটের সমাধান। কারণ রাজপথের আন্দোলনে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে, অসুবিধা হয়। আমরা চাই না তেমন কোনো কর্মসূচিতে আমাদের ঠেলে দেওয়া হোক। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের কথায় তারা পরিচালিত হচ্ছেন। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। আশাকরি তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন। তা না দিলে ৬ তারিখের সমাবেশ থেকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সাত দফার সর্মথনে নতুন কর্মসূচি আসবে। সেই কর্মসূচি কতটা কঠোর হবে তা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ ও আচারণের ওপর নির্ভর করছে।  সম্পাদনা : মাহবুব আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়