জাফরুল আলম : ১৯৫১ থেকে ১৯৫৯ সাথে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ কোটি টাকা অর্থনৈতিক সহায়তা পায়, যা পশ্চিম পাকিস্তানে কারখানা স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাদের টার্গেট ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে শাসক গোষ্ঠী তৈরি করা। গড়ে ওঠে সেই বিখ্যাত ‘টুয়েন্টি টু ফ্যামিলিস’ বা ২২ পরিবার। যার মধ্যে ছিলো সামরিক ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও শিল্পপতি। এই গোষ্ঠী পাকিস্তানের শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকিং সম্পদ, ৭৫ ভাগ বীমা সম্পদ ও ৬০ ভাগ শিল্প সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করত। তারা বিবাহ সুত্রে সম্বন্ধযুক্ত ছিল এবং তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য একত্রিত ছিলো। তারা জোরপূর্বক হলেও পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অসাম্য রক্ষা করতো। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিণত করেছিল তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক একটি নীতির মাধ্যম হিসেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার এদের সম্পর্কে বলেছেন। ২২ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন- (১) দাউদ (২) ওয়াজির আলী (৩) আদমজিস (৪) কোলনি (৫) ফেন্সী (৬) ভালিকা (৭) জলিল (৮) ভাওয়াল (৯) ক্রসকন্ট (১০) ওয়াজির আলী (১১) গানধারা (১২) ইস্পাহানি (১৩) হাবিব (১৪) খাইবার (১৫) নিশাত (১৬) বিকো (১৭) গুল আহমেদ (১৮) আরগ (১৯) হাফিজ (২০) করিম (২১) মিলওয়ালা এবং (২২) দাদা।
ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া
আপনার মতামত লিখুন :