শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৭ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যাংক একত্রীকরণে সরকারের সদিচ্ছা নেই

আদম মালেক : সমস্যগ্রস্থ ব্যাংকগুলি বন্ধ বা একীভূত হচ্ছে না। বরং সরকারী সহযোগিতায় টিকে থাকছে এসব ব্যাংক। তাই এসব ব্যাংক একত্রীকরণে অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা থাকলেও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তাবায়ন হচ্ছে না বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।

অর্থনীতিবিদরা বলেন, লোকসানি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে না। এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হওয়াতো দূরের কথা বরং সরকারী অর্থে এসব ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংককে বাচাঁতে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক এবং সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ৭১৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিয়েছে। এখনও ১ হাজার কোটির টাকার বন্ড ক্রয়ে বাধ্য করা হচ্ছে এসব সরকারী প্রতিষ্ঠানকে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, লোকসান ঠেকাতে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রয়োজন। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার অভাব। সরকার এসব ব্যাংক একত্র করা তো দূরের কথা বরং রাষ্ট্রীয় অর্থে টিকিয়ে রাখছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. মির্জা এ বি আজিজুল ইসলাম মনে করেন, বেসরকারী ব্যাংক একত্রীকরণে কোনো আইন নেই। ব্যাংক একত্রীকরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত বলেছেন, দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এরপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় আসছে আরও চার ব্যাংক। তবে এসব ব্যাংকের অনুমোদনে খুশি নন তিনি। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে।

এর আগে গেল বছর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) একীভূত করার উদ্যোগ নেয় অর্থমন্ত্রণালয়। পূনর্গঠনের খসড়াও তৈরী হয়। অর্থমন্ত্রী তা দেখানো হলেও পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সরকারি ব্যাংকের মালিক সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন ও নীতি অনুসারে একীভূত করণে আইনি জটিলতা রয়েছে। এজন্য নীতিমালা প্রণয়নে দীর্ঘদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিমালা গবেষণা করা হয়। একীভূত হলেও এসব ব্যাংকের সমস্যা সমাধান হবে না। তাছাড়া একত্রীকরণের জন্য তালিকাভুক্ত ব্যাংক,অর্থমন্ত্রণালয় বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যেও কোনো তৎপরতা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা সরকার চাইলে একত্রীকরণ সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়