শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার

সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নীলকুমর নদ। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের খ্যানের ঘাটে নীলকুমর নদের ওপর নির্মিত একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয় ঘোগারকুটি, পূর্ব ধনীরাম ও পশ্চিম ধনীরাম গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। কুষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা এই কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন তারা। কাঠের সাঁকোটির অনেক অংশই বর্তমানে ভেঙ্গে গেছে। তাই পারাপার আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষি ফসলাদি আনা নেওয়ার সময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। তাই এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি তাদের দীর্ঘদিনের।

জানা যায়, স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রায় একশত ফুট দৈর্ঘ্য ও পাঁচ ফুট প্রস্থের কাঠের সাঁকোটি বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণ করেছে। পাশের গ্রামে যাতায়াত, কৃষিকাজ ও কৃষি ফসলাদি আনা নেওয়ায় এ্ই সাঁকোটি একমাত্র ভরসা। এটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে এসব প্রয়োজনে তাদের যাতায়াত করতে হবে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তারা।

ঘোগারকুটি গ্রামের বাসিন্দা ফুলবাড়ী আবেদিয়া মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল হক পোদ্দার (৪৮) জানান, নদীর ওপারে তাদের সব জমি। চাষাবাদের জন্য জমিতে যেতে তাদের ওই সাঁকোটি দিয়েই পারাপার হতে হয়। বর্তমানে সাঁকোটির অনেকাংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একই গ্রামের খাইরুল বারী (৪৩) জানান, জমিতে ধান পাঁকতে শুরু করেছে। এ সময় সাঁকোটি মেরামত না হলে তাদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হবে। এই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে তিনটি গ্রামের মানুষের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। জবাবার আলী (৫০), আঃ রশিদ (৩২), আনছার আলী (৬৬), রমিচা বেগম (৩২), রোজিনা (৫২) ও জোসনা বেগম (৩০) সহ অনেকে বলেন, অন্য কোন প্রয়োজনের সময় ৬/৭ কিলোমিটার পথ না হয় ঘুরে যাওয়া যায়, কিন্তু কৃষিকাজ ও ফসলাদি আনা নেওয়ার জন্য এতোটা পথ ঘুরে আসা খুবই কষ্টকর। এতে ব্যয়ও অনেক বেড়ে যায়। তাই খুব দ্রুত সাঁকোটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণেরও দাবি তাদের।

এ ব্যাপারে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়া জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাঁকোটি সংস্কার করা হবে। পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন সরকার এখানে ব্রীজ নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল হননি বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়