জুয়েল খান : বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়ার নামে থাকা মামলাগুলো শুধুমাত্র সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে সুরাহা হচ্ছে না। এজন্যই সহসাই মুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার। সরকার হস্তক্ষেপ না করলে ১ মাসের মধ্যেই তাঁকে মুক্ত করা সম্ভব। শুক্রবার রাতে ডিবিসি টেলিভিশনে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং একইসঙ্গে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করা হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩ ডজনের মতো মামলা দিয়েছে। অধিকাংশ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করেই বিচারকাজ চলছে। কিন্তু আইনের কোনো ধারাতেই আদালত কোনো আসামিকে আদালতে হাজির না করে মামলার শুনানি করার বিধান নেই। শুধুমাত্র যদি কোনো আসামি জামিনে মুক্ত থাকেন তাহলেই কেবল আসামিপক্ষ যদি আবেদন করেন যে আসামি আদালতে হাজির হতে পারবেন না তাহলেই কেবল তার অনুপস্থিতিতে মামলার শুনানি করা সম্ভব। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে আদালতের বাইরে রেখেই শুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে যেটা আইনানুগ নয়। তাই খালেদা জিয়ার আইনজীবী এবং খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হননি।
তিনি আরো বলেন, সরকারে হস্তক্ষেপের কারণে কোনো বিচারকই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদেরকে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তারা যাতে আদালতে না যেতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। সারাদশে ৪ হাজারের বেশি গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাদেরকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, তবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্তি পাবে। আইনি লড়াইও চলবে একই সাথে রাজপথে আন্দোলনও চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :