নূর মাজিদ : চীনা সামরিক বাহিনী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতার স¤পর্ক বৃদ্ধি করছে। অধিকাংশ সময়েই দেশটির সামরিক গবেষণায় জরিত চীনা বিজ্ঞানীরা তাদের সামরিক পরিচয় গোপন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নানা গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন। গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলীয়ার কৌশলগত নীতি গবেষণা সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বেজিংয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে। আলোচিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, যে সকল দেশ চীনের সামরিক উত্থান নিয়ে চিন্তিত পরোক্ষভাবে তারাই হয়তো নিজেদের অজ্ঞাতে চীনা সমর শক্তিবৃদ্ধির পেছনে গুগুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবেদনটি জানায়, গত দশকে চীনা সামরিক বাহিনী আড়াই হাজার সামরিক বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রকৌশলীদের উচ্চতর শিক্ষার্জন ও গবেষণা প্রকল্পে অংশীদার হতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠিয়েছে। এই বিজ্ঞানীরা সারা বিশ্বের গবেষক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তবে বিশেষ করে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চীনা সামরিক গবেষকদের অংশগ্রহণ সবচাইতে বেশি। এই দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য চীনা বিজ্ঞানীরা জানছেন এবং সেই সুত্রে চীনা সামরিক বাহিনীও তাদের সমরাস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে এই সকল তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগাতে পারছে।
বিগত এক দশকে চীনা বিজ্ঞানীরা পশ্চিমা দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একত্রে অসংখ্য গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। শুধুমাত্র গত বছরেই চীনা বিজ্ঞানীরা ৭৩৪টি গবেষণাপত্রের সহকারি গবেষক ও লেখক হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। এই গবেষণাগুলোর মধ্যে রয়েছে দিক-নির্দেশনা, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির মতো সামরিক অস্ত্রের উন্নয়নে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সকল বিষয়ও রয়েছে। ইকোনমিক টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :