নূর মাজিদ : গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদের নতুন সরকার তাদের প্রথম বার্ষিক বাজেট প্রস্তাব দেশটির পার্লামেন্টে উপ্সথাপন করেছে। উত্থাপিত বাজেট প্রস্তাবে দেশটির সরকার অব্যাহত রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট বাজেট ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করেছে। তবে একই সময় তারা বিরোধিদের সমালোচনা স্বত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বৃদ্ধি করেছে। মালয়েশিয়ার প্রাক্তন নাজিব রাজাকের সরকারের সৃষ্ট দেনাও প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতির অন্যতম প্রধান কারন। দেশটির নতুন সরকার ২০১৯ সালের বাজেটে ঘাটতি মোকাবেলায় কর পরবর্তী সুবিধা দেবার কথা ভাবছে। একইসঙ্গে দেশটির অর্থনীতির ওপর চেপে বসা দেনার ভার নিরসনে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মাঝে সামঞ্জস্য আনার কথাও আলোচনা করা হয়েছে বাজেটটি উপস্থাপনের সময়। ২০১৯ সালের জন্য উপস্থাপিত বাজেটটির অর্থনৈতিক আকার ৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার ৪৬০ কোটি মালয়েশিয় রিঙ্গিত। যা গত বছরের ২৯ হাজার রিঙ্গিতের বাজেটের চাইতে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
২০১৯ সালের বাজেটে দেশটির সরকার ২৬ হাজার ১৮০ কোটি রিঙ্গিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কর পরবর্তী সুবিধা দেয়া হবে ৩ হাজার ৭০০ কোটি রিঙ্গিত। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কো¤পানি পেট্রোনাসের আয় থেকে এককালীন বিশেষ লভ্যাংশ হিসেবে এই সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়াও কো¤পানিটি সরকারকে আরও ২ হাজার ৪০০ কোটি রিঙ্গিত রাজস্ব দেবে-এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি দেশটির গড় দেশজ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৪ শতাংশের সমপরিমাণ হবে বলেই দেশটির অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন। তবে বাজেটটির মোট ঘাটতির পরিমাণ ২০১৯ সালের শেষে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলেই তারা অনুমান করছেন। যা তাদের আগের দেয়া ২ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতির পূর্বাভাষের চাইতেও বেশি। সাবেক নাজিব রাজাকের সরকারের পর এটাই নব-নির্বাচিত মাহাথির মোহাম্মদের সরকারের প্রথম ঘোষিত বাজেট । ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
আপনার মতামত লিখুন :