নূর মাজিদ : চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত প্রান্তিকে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের স্বর্ণ সংগ্রহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বৃহ¯পতিবার বিশ্ব স্বর্ণ সংস্থা-ডব্লিউজিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি জানায়, এই সময় বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মোট ১৪৮ টন স্বর্ণ কিনেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। প্রতি ট্রয় আউন্স স্বর্ণের মুল্য ১ হাজার ২২৩ ডলার ধরে হিসেব করলে দেখা যায়, নানা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সদ্য সমাপ্ত প্রান্তিকে মোট ৫৮২ কোটি ডলারের স্বর্ণ কিনেছে। ২০১৫ সালের পর আর কোন বছরের একক প্রান্তিকে এত বিপুল অঙ্কের স্বর্ণ ক্রয় করা হয়নি। ডব্লিউজিসি একে একটি রেকর্ড বলেই জানিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, সকল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবচাইতে বেশি ৯২ টন স্বর্ণ কিনেছে। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রেক্ষিতেই মার্কিন ডলারকে এড়িয়ে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। ১৯৯৩ সালের পর কোন একক প্রান্তিকে এটি দেশটির সবচাইতে বেশি স্বর্ণ ক্রয়ের রেকর্ড। এই বিষয়ে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর দিমিত্রি তুলিন দেশটির পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং আইনি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে স্বর্ণে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত শতভাগ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।’
ডব্লিউজিসি প্রতিবেদন অনুসারে রাশিয়ার পরেই সবচাইতে বেশি স্বর্ণ কিনেছে তুরস্ক, কাজাখ¯তান এবং ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৫ টন, ১৩ দশমিক ৪ টন এবং ১৩ দশমিক ৭ টন স্বর্ণ কিনেছে। এছাড়াও ইউরোপের দুই দেশ হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও স্বর্ণ ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের রিজার্ভের দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতেই তারা এমনটি করছে বলে জানায় ডব্লিউজিসি। যদিও বর্তমানে মার্কিন ডলারের দর বাড়ছে তবু দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সুরক্ষার নিশ্চিত করতে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বর্ণ ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। সিএনবিসি
আপনার মতামত লিখুন :