আসিফুজ্জামান পৃথিল : প্রবাল প্রাচীর, নীল পানি এবং সাদা রৌদ্রজ্জল বেলাভুমির জন্য বিখ্যাত প্রশান্তমহাসাগরীয় ক্ষুদে দ্বীপপুঞ্জ পালাউ। প্রতিবছর সমুদ্রের শোভা উপভোগ করতে দেশটিতে ভীর জমান ইউরোপিয়ান ও মার্কিন পর্যটকরা। তাদের প্রায় সবাই নিরক্ষয়ি অঞ্চলের সূর্যে ‘ট্যান’ হতে চাইলেও চাননা নিজের ত্বককে পুড়িয়ে ফেলতে। তাই তারা সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তবে এই সানস্ক্রিনের কারণে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দ্বীপটির প্রধান আকর্ষণ প্রবালপ্রাচীর। তাই ২০২০ সাল নাগাদ সানস্ক্রিন নিষিদ্ধ করতে চায় দেশটি।
অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মাঝামাঝি পশ্চিম প্রশান্ত সমহাসাগরীয় দেশটিবে লা হয় বিশে^র সেরা ডাইভিং করার জায়গা। তবে সরকার মনে করছে এর জনপ্রিয়তা বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র টমি রেমেনগেসু জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে সানস্ক্রিনে থাকা রাসায়নিক পদার্থ প্রবালের ক্ষতি করে। এই ক্ষতি মাত্র এক মিনিটেই হতে পারে। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘যে কোন দিন আমাদের পালাউ এর বিখ্যাত ডাইভিং ও ¯েœারকেলিং এর এলাকাগুলোতে কয়েক গ্যালন সানস্ক্রিন সাগরে গিয়ে মেশে। আমরা পরিবেশকে কিভাবে রক্ষা করা যায় বিষয়টি খেয়াল রাখছি।’
২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে সানস্ক্রিন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন পাশ করেছে দেশটির সরকার। সেদিন থেকে সানস্ক্রিন আমদানি বা বিক্রয় করলে ১ হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। আর দেশটিতে আগত পর্যটকদের প্রবেশের সময়ই সানস্ক্রিন আঝে কি নেই সে ঘোষণা দিতে হবে। এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :