নূর মাজিদ : ইরানি তেল রপ্তানির ওপর আগামী নভেম্বর মাস থেকে আরোপিত হতে চলা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করতে ভারতকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় কো¤পানিগুলো ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে পারবে। গতকাল বৃহ¯পতিবার ভারতীয় দৈনিক টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়। ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবার পর আগামী নভেম্বর থেকে ইরানের ওপর তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিতে চলেছে ওয়াশিংটন। তবে ভারত ইরানি তেলের সবচাইতে বড় আমদানিকারক। ইতোপূর্বে ২০১৫ সালে ইরান পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার আগে ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং তাইওয়ান সকলেই ইরানি তেল আমদানিতে বিশেষ ছাড় পেয়েছিল।

এদিকে ভারতকে দেয়া তেল আমদানির বিশেষ ছাড়ের বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক প¤েপও’র বক্তব্যে। প¤েপও বলেন, ‘ইরান থেকে তেল আমদানি শূন্যে নেমে আসুক এটাই ওয়াশিংটনের অভিপ্রায় তবে যেখানে ছাড় দেয়া উচিৎ সেখানে তা দেয়া হবে।’ এদিকে ইরানের ওপর কার্যকর হতে চলা নিষেধাজ্ঞা ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতা ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পড়ে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান জ্বালানি তেলের ভোক্তা। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশটির আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা দেশটির মুদ্রার দরপতনের নেপথ্যেও অবদান রেখেছে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট