সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে গত অক্টোবর মাসে ১ লাখ ২৩ হাজার টন পাথর উত্তোলনের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এসময় প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়। বিক্রয় মূল্য ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু পাথর উত্তোলনের নয়া রেকর্ড তৈরী হলেও পাথর বিপননের ক্ষেত্রে আশানুরুপ সাড়া না পাওয়ায় প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন পাথর বর্তমানে অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে খনির ৯টি স্টক ইয়ার্ডে। অবিক্রিত মজুদ পাথরের বাজার মূল্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের পাথর মজুদের এ হিসেব খনি সূত্রে পাওয়া যায়। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে পাথর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন। পাথর বিক্রি হয়েছে ৯৮ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। খনি সূত্র জানায়, বর্তমানে দৈনিক পাথর উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিদিন পাথর বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার মে.টন।
খনি সূত্র আরও জানায়, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’র সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতিমাসে ১ লাখ ২০ হাজার মে.টন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার মে.টন পাথর বেশি উত্তোলন করে তারা। এদিকে, খনির একটি সূত্রে বলা হয়েছে, খনিতে গড়ে ৫০ শতাংশ পাথরও বিক্রি হচ্ছে না বর্তমানে। একারনে খনির ইয়ার্ডে মজুদের স্তুপ বেড়ে যাচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’র নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী বলেন, অর্ধশতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ, দেশী প্রকৌশলীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ’ খনি শ্রমিক নিরলসভাবে কাজ করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার মে.টন বেশি পাথর উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে সদ্যসমাপ্ত হওয়া অক্টোবর মাসে।
আপনার মতামত লিখুন :