শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:০২ দুপুর
আপডেট : ০১ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজকের আলোচনা হতে পারে ছাড়ের ও সমঝোতার : দিলারা চৌধুরী

সৌরভ নূর : সাধারণ মানুষ এই আলোচনা থেকে প্রত্যাশা করছে দুই পক্ষ একটা সমঝোতায় আসবে। কারণ সবাই চায় একটা সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তবে এই সংলাপ সফল করতে গেলে দু'পক্ষেরই ছাড় দেয়ার মানসিকতা প্রয়োজন মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই চাইছিল একটা সংলাপ হোক, পরে ক্ষমতাসীনরাও এতে সায় দিয়েছে। এর পেছনে দুই বিষয়কে প্রধান কারণ বলা যেতে পারে। প্রথমত, সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা চাপ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, সরকার দেখাতে চাইছে তারা সংলাপে বসেছে। সেটা লোক দেখানোও হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তারপরেও সরকারের ছাড় দেয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। যেখানে সংসদ থাকতে পারবে না। যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনের কোন কাজেই হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার এ ক্ষেত্রে ছাড় দিলে সংলাপ নতুন জায়গা পাবে বলে মনে করছেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, "সংবিধানে এটাও আছে যে, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারপরের ৯০ দিনের মধ্যে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ রয়েছে। এতে করে দুটো দাবিই মেনে নেয়া হবে। সংসদও থাকলো না আবার একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এসে গেল।"

অন্যদিকে "বিএনপি একটা ছাড় দিতে পারে নির্বাচন কমিশনই থাকল কিন্তু যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসবে সেটা কী কী কাজ করবে সেটা একটা নীতিমালার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা হবে। তবে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার প্রশ্নে বিএনপি কোনো ছাড় দেবে না বলে মনে করেন তিনি ।
তিনি আরও বলেন, এ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ মিটমাট করতে আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন। এতো অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি বা বিরোধী দল কোনটা ছাড় দেবে সেটার সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যেই তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন যদি জানুয়ারি বা মার্চ এপ্রিলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে অনেক সময় পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কথাবার্তা বলারও সুযোগ তৈরি হবে।

অন্যদিকে, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ কী হবে, কি হবে না, সেটাকে কতোগুলো আইন, কনভেনশন বা নীতিমালার আওতায় আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। সেই-সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আচরণ কেমন হবে সেক্ষেত্রে আলোচনায় সরকারি ও বিরোধী পক্ষের ছাড় দেয়ারও জায়গা রয়েছে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।-- বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়