আক্তারুজ্জামান : সিনিয়ররা না পারলেও জুনিয়ররা করে দেখালো। অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে মেয়েরা। এবার সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পথে হাটছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ছেলেদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে আজ প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজের দল। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলাটি ১-১ গোলে সমতা ছিল ম্যাচটি।
উত্তেজনাময় ম্যাচে টাইব্রেকারে গোলরক্ষক মেহেদি হাসানের বীরত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই মেহেদি হাসান বাংলাদেশ দলের মূল গোলরক্ষকই ছিলেন না। সেমিফাইনালে নেপালের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিল দলের মূল গোলরক্ষক মিতুল মারমা। সে কারণে সেমিফাইনালে খেলা হয়নি তার। ভারতের বিপক্ষে মিতুলের জায়গায় মূল একাদশে সুযোগ পায় রিজার্ভ গোলরক্ষক মেহেদি হাসান। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত! টাইব্রেকারে ভারতের প্রথম দুটি শটই ঠেকিয়ে দেন এই কিশোর। অপরদিকে বাংলাদেশের কোনো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।
টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিতে শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য ভারতই এগিয়ে ছিল। গোলও এসেছে মাঝমাঠের খেলা থেকেই। ১৭ মিনিটে বক্স থেকে বেশ দূরে বল পেয়ে যান ভারতের হর্ষ শৈলেশ। আচমকা দূরপাল্লার শটে বলটা বাতাসে ভাসিয়ে দেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদি কিছুটা এগিয়ে থাকায় বলের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি। ফলে বলটা ভাসতে ভাসতে আশ্রয় নেয় জালে।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই খেলা শেষ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ভারতের ডি-বক্সে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৯৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান আশিকুর রহমান। ১-১ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচটি নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকারের আশ্রয় নেন রেফারি। সেখানেই বাজিমাত বাংলাদেশের।
দিনের অপর ম্যাচে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তান। আগামী শনিবার ৩ নভেম্বর একই ভেন্যুতে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :