জামাল হোসেন খোকন : নোহপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকা সুমাইয়ার বিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠেকানো যায়নি। এ বাল্য বিয়ের ঘটনার আগে উপজেলা প্রশাসন কিংবা থানা পুলিশকে বার বার বিয়ে বন্ধের অনুরোধ করেও কোন সাড়া না পাওয়ায় কোন বাঁধা বিপত্তি ছাড়ায় নানা আয়োজনে বেশ ঘটা করে বিয়ের কার্য সম্পাদন হয়ে যায়।
নাবালিকা সুমাইয়া (১৩)জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার মহিউদ্দিনের কন্যা। সুমাইয়া মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
এলাকাবাসী সুত্র থেকে জানা গেছে, বর্তমান সরকার বাল্য বিয়ের বিষয়ে কঠিন অবস্থানে থাকলেও আইনে অপরাধ ও নিষিদ্ধ থাকলেও সুমাইয়ার পিতা মহিউদ্দিন সরকারী বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে অত্যন্ত জাঁকজমক পরিবেশে বুধবার দুপুরে উপজেলার পাকা গ্রামে বিয়ে দেয়।
সুমাইয়া খাতুনের যখন বান্ধবীদের সাথে অন্যের বিবাহ অনুষ্ঠানে হৈ-চৈ করার কথা ছিল, সেই সুমাইয়া বুধবার বধূ বেশে কাঁদতে কাঁদতে শ্বশুর বাড়ী চলে গেল। এদিকে এই বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য বার বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর মোবাইল ফোনে জানানো হলেও এ বিয়ের ব্যাপারে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বাল্য বিয়ে বিরোধী সচেতন মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাল্য বিয়ে ও মাদক বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অধিকার’র সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, এলাকাবাসী ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার বিয়ে বন্ধের ব্যাপারে আমাদেরকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক ভাবে বাল্য বিয়ের ঘটনাটি বন্ধের জন্য প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ওসি’র মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠানো হয়।
তারপরও সাড়া না পাওয়ায় তাদের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় বিয়েটি বন্ধের অনুরোধ করেও শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় নির্বিঘ্নে বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সরকারী বিশেষ মিটিংয়ে চুয়াডাঙ্গায় থাকার কারণে বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য ওসি জীবননগরকে জানিয়েছিলাম।
আপনার মতামত লিখুন :