মো: মারুফুল আলম: ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাপস কুমার সরকার বলেছেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। মনিটরিং করার জন্য বিটিআরসি ও আন্তমন্ত্রণালয়ে মনিটরিং কমিটি এবং আমাদের নিজস্ব বোর্ডের একটা ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত আছে।
বৃহস্পতিবার বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এর চেয়ে মূলত গুজবই বেশি ছড়ানো হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ত্রিশ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে চলে যেত, সেটা খোলা হত পরীক্ষা শুরুর পঁচিশ মিনিট আগে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো ৯.৩৫ মিনিটে। ততক্ষণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতো। ওটাকে এভাবে ফাঁস বলা যায় না; মূলত গুজব ছড়ানো হতো। তো সেটাকে রোধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়াকে রোধ করার জন্যও মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ দশ মিনিট আগে সোস্যাল মিডিয়ায় কিছুকিছু প্রশ্ন চলে আসতো যদিও পরীক্ষার্থীরা এ থেকে কোন উপকার পেত না। সরকারকে, শিক্ষাবোর্ডকে বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কেউ কেউ একাজগুলো করতো।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা আরও কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। যেমন পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ, প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সংরক্ষণ, যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
আপনার মতামত লিখুন :