মো.ইউসুফ আলী বাচ্চু: কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আগামী ৪ নভেম্বর আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এ সংবর্ধনা দেবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয়।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে সংবধর্না দিতে সারাদেশের আলেমরা ঢাকায় আসবেন। সনদের স্বীকৃতির কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য এ আয়োজনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
গত (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে আহমদ শফীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে সংবর্ধনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলাপ করেন এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বীকৃতি দিয়েছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এ আয়োজন। শুকরিয়া আদায় করতে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি জানান, এ কারণে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এরই মধ্যে বৈঠক করেছে। আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত ৬ বোর্ডের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠককে প্রধানমন্ত্রীকে অনুষ্ঠান করে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী ৪ নভেম্বরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগমের উদ্যোগও নিয়েছে। আল হাইআতুল উলইয়ার সারাদেশের মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি রুহুল আমীন, মুফতি ওয়াক্কাস, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, আবদুল হালিম বোখারী, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল বছির।
আপনার মতামত লিখুন :