রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রহসনের একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচন করতেই বেশী আগ্রহী সরকার। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। বুধবার এক বিবৃতিতে জামায়াত নেতা এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। তিনি যশোহর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ সারা দেশে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ৩১ অক্টোবর যশোহর জেলার শার্শা উপজেলা শাখা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ ৫জন, গত ৩০ অক্টোবর গাাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুল মজিদ আকন্দসহ ৪ জনকে, গত ২৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল এবং নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডঃ মীর নূরুল ইসলামের স্ত্রী মিনা খাতুনকে গত ৩০ অক্টোবর মধ্য রাতে পুলিশের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে জামায়াতেকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। এমনকি পর্দানশীন ধার্মিক মহিলারা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সরকার বায়বীয় মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। তিনি গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে যশোহর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোরসহ সারাদেশে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুিক্ত দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :