ইসমাঈল হুসাইন ইমু : পুলিশের বেশিরভাগ সদস্যই জাতিসংঘ মিশনে যেতে চায়। দেশে থেকে দাযিত্ব পালনের মাধ্যমে যে পরিমাণ বেতন পান তার থেকে অনেক বেশি বেতন পান মিশনে। এ কারণে জাতিসংঘ মিশনে যেতে আগ্রহ দেখা যায়। গতকাল একাধিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক আইজিপি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এর অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে আর্থিক নিরাপত্তা। একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে দেড় দুই বছর কাজ করলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা উপার্জন করেন। এটা একটা আর্থিক নিরাপত্তা। একজন মানুষের ৫০ লাখ টাকা থাকলে সেই টাকা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালভাবেই দিনাতিপাত করতে পারেন।
বাংলাদেশে সেভাবে ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে না পারার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুলিশ সদস্যরা যে বেতন পান- সেই টাকা দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তাদের খরচ করে ফেলতে হয়। একজন সাব ইন্সপেক্টর কোনো সোর্সমানি পান না। অথচ তাকে নানা কাজে সোর্স নিয়োগ করতে হয়। মামলা তদন্তে করতে গিয়ে দুর দুরান্তে যেতে হয়। সেখানে যাতায়াত খরচসহ নানাবিধ খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়। ফলে তাদের বাড়তি আয় করতে হয় এবং সেটা মামলার বাদি, বিবাদীর কাছ থেকে তারা নেন। ফলে সংশ্লিষ্টদের কাছে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৮ হাজার ৪১৯ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ শেষ করেছেন। এরমধ্যে নারী সদস্য রয়েছেন ১ হাজার ১৮৪ জন। বর্তমানে দারফুর, কঙ্গো, হাইতি, মালি, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, থাইল্যান্ড ও জাতিসংঘ সদর দফতরে ৮১৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে কাজ করতে গিয়ে ২০ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। ১৯৮৯ সাল থেকে নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা জাতিসংঘে যাত্রা শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :