শিরোনাম
◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:১২ সকাল
আপডেট : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিরোধী শিবিরের মেসি হবেন ড. কামাল’

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ ঐক্য ফ্রন্টকে সংলাপে ডেকেছে। এটাও সত্য, আওয়ামী লীগ প্রথমে সংলাপে আসতে চায়নি। তারা তাদের পজিশন থেকে পরে সরে এসেছে। এটা আওয়ামী লীগের মহানুভবতা নয়, তারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে যাচ্ছে। যারা বলছে, সরকার বিরোধী দলের সাথে সমঝোতার ক্ষেত্রে আন্তরিকই হয় তাহলে একই সাথে ই ভি এমের অনুমোদন, খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের গেজেট প্রকাশ সরকার কেনই বা করলো? এইটার সরল উত্তর: যে চাপ উপেক্ষা করতে না পেরে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিতে আওয়ামী লীগ বাধ্য হয়েছে তার সাথে ই ভি এমের অনুমোদন, খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের গেজেট প্রকাশ যুক্ত নয়। এই দুটো বিষয় আলাদা।তাই তার একটা খড়্গ নামিয়ে আরেকটা খড়্গ উঠাতে কোন বাধা নেই।

এই সংলাপে কোন ভালো ফল আসবে কী? এইটা এখনই অনুমান করা বা বলা অসম্ভব। কারন আপনি জানেন না আওয়ামী লীগ কোন আর্গুমেন্ট আনবে আর ডঃ কামাল হোসেন কোন পাল্টা আর্গুমেন্ট দেবেন। যেই চাপের মুখে সংলাপ হতে যাচ্ছে, সেই চাপের কাছে কোন আর্গুমেন্ট সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে? আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মতো একটা নির্বাচন করতে পারছে না এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর ফেয়ার নির্বাচন হবে এটা নিশ্চিত না হলে বিরোধীদল নির্বাচনে যাবেনা। আওয়ামী লীগকে বিরোধীদলের অবাধ অংশগ্রহণ সহই একটা নির্বাচন করতেই হবে। এইটা এমন আন্তর্জাতিক চাপ যেইটা নন নেগোশিয়েবল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যেই সবার অংশগ্রহনের নির্বাচনের জন্য চাপ আছে। এইটা উপেক্ষা করা আওয়ামী লীগের পক্ষে এখন আর সম্ভব নয়।

ঐক্য ফ্রন্ট তার শক্তি রাজপথে সংহত করার জন্য যা যা করছিলো, সেটা তো এই সংলাপের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছেনা। তাই যারা অনুমান করছেন আওয়ামী লীগ সময় ক্ষেপণ করবে, তাদের বলি তাতে ঐক্য ফ্রন্টের কোন ক্ষতি নেই।

আওয়ামী লীগ যদি সেই মান্নান ভুইঁয়া আর জলিল সাহেবের মতো একটা সংলাপ করে আর শেষ পর্যন্ত কিছুই না হয়, এই প্রশ্ন অনেকেই করছেন। তাদের ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরাতে বলি, সেই সংলাপ সফল না হওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কে হয়েছে? বিএনপি, তারা আজ পর্যন্ত সাফার করে এসেছে সে জন্য। সেদিনের বিএনপি যদি বুঝতো তাদের সেই গোয়ার্তুমি তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিপদে ফেলে দেবে তারা কি ওই কাজ করতো? চালাকির ফল কী হয় সেটা তো আমরা দেখছিই হাতেনাতে।
​​
বাংলাদেশের সবচেয়ে তুখোড় পলিটিক্যাল ও আইনি ব্রেইন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তার সাথে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের জনসমর্থন যখন একসাথে মেলে, তখন সেই শক্তি যা যা উপহার দিতে পারে সেটা বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি।রাজনীতিতে একই ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসেনা। যারা ফেইসবুকে পান্ডিত্য দেখাচ্ছেনা তারাই ঐক্য ফ্রন্টের কর্মসুচীগুলোতে যোগ দিচ্ছে, ঐক্য ফ্রন্টের আসন্ন রাজনৈতিক বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে নানাভাবে।

খেয়াল করে দেখেন, বিরোধী শিবিরের লোকেরা কি ডঃ কামাল হোসেনকে নিয়ে কৌতুক করেনি? কামাল হোসেনের ভোট কয়টা, এই আর্গুমেন্ট তোলেনি? আমি বলেছিলাম, ডঃ কামাল হোসেন হবেন বিরোধী শিবিরের মেসি।

এই মেসির গোল তো মাত্র একটা দেখলেন। অপেক্ষায় থাকেন আরো দেখবেন। খেলা শেষ হবার পরে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে একটা গভীর শ্বাস নিয়ে পিছনে ফিরে দেখবেন, কে কে গভীর প্রত্যয় নিয়ে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে সঠিক কথাটা বলেছিলো।

(ফেসবুকে লিখেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়